Home লাইফস্টাইল আপনি কি সুখী মানুষ?

আপনি কি সুখী মানুষ?

দখিনের সময় ডেস্ক:
আমাদের বেশিরভাগই মনে করে যে সুখের চাবিকাঠি হলো আমাদের জীবনে বড় পরিবর্তন করা। আমরা ভুলে যাই যে সুখ আমাদের প্রতিদিনের করা ছোট ছোট কাজ থেকে আসে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কিছু ছোট অভ্যাস জীবনের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে। যা আমাদের সুখী এবং প্রফুল্ল মানুষে পরিণত করে তুলতে পারে। সেই ক্ষুদ্র কাজগুলোই সুখের আসল চাবিকাঠি হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন কাজগুলো আপনাকে সুখী করবে-
১. ইতিবাচক মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক: সব সময় ইতিবাচক মানুষের আশেপাশে থাকার চেষ্টা করুন। সঠিক সঙ্গ সবসময় গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি আমাদের আত্মবিশ্বাস তৈরি করতে সাহায্য করে। ইতিবাচক এবং সহায়ক পরিবেশ পেলে তা আমাদেরকে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ এবং সদয় হতে সাহায্য করে। এভাবে আমাদের মধ্যে ইতিবাচক গুণ সৃষ্টি হয়। ইতিবাচক মনোভাব আমাদেরকে আরও ভালো মানসিকতার সঙ্গে জীবনে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সাহায্য করে।
২. প্রতিদিন ব্যায়াম: ভাবছেন, সুখী হওয়ার সঙ্গে ব্যায়ামের কী সম্পর্ক? নিয়মিত ব্যায়াম করলে তা আপনাকে সব সময় ভাল বোধ করতে সাহায্য করবে। এটি আপনাকে সুস্থ রাখতেও কাজ করবে। ব্যায়াম করলে তা চাপ কমাবে এবং স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাবে। এই অভ্যাস আপনাকে আরও ভালো ঘুম এনে দিতে সাহায্য করবে। ফলে আপনি পরদিন আরও শক্তি নিয়ে কাজ করতে পারবেন। আলাদা করে জিমে যাওয়ার সময় না পেলে নিয়মিত হাঁটা বা দৌড়ের অভ্যাস করুন। এই অভ্যাস আপনাকে দিনশেষে একজন সুখী মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে।
৩. প্রার্থনা ও মেডিটেশন: প্রার্থনা আপনাকে মানসিক প্রশান্তি দেবেন। আবার মেডিটেশনও আপনাকে শান্ত রাখতে কাজ করবে। বেশ কিছু গবেষণা অনুসারে, মেডিটেশন আমাদের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে। যার ফলস্বরূপ আমরা চাপের পরিস্থিতিতেও শান্ত থাকতে পারি। এমনকি কয়েক মিনিটের জন্য গভীরভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার অভ্যাসও আপনার চাপ কমাতে পারে এবং মেজাজকে উন্নত করে। ফলে বাড়ে কাজে মনোযোগ এবং সামগ্রিক সুস্থতা। যা সুখী হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয়।
৪. কৃতজ্ঞ থাকা: কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার অভ্যাস আপনাকে আরও সুখী করে তুলবে। কারণ কৃতজ্ঞতা হলো এমন একটি আবেগ যা আমাদের মনকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। সেইসঙ্গে এটি সুখী হওয়ার আবেগকেও বাড়িয়ে তোলে। অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল হোন। আপনার যা আছে এবং আপনি যা করেছেন তার জন্য সন্তুষ্ট থাকুন। নিজের কৃতিত্বের জন্য গৌরব করা বন্ধ করুন। এর পরিবর্তে আপনার জীবনে যা আছে তার জন্য কৃতজ্ঞ হোন। এটি জীবনের প্রতি একটি ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করতে সাহায্য করবে।
৫. হাসিখুশি থাকুন: নিজেকে একজন হাসিখুশি মানুষ হিসেবে গড়ে তুলুন। অন্যদের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করুন। নিজের ভালোলাগার কাজগুলো করুন। বিভিন্ন উপায়ে আপনার কাজগুলোকে আরও আনন্দদায়ক করুন এবং জীবনের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রাখার চেষ্টা করুন। দৈনন্দিন রুটিনে আনন্দদায়ক কাজগুলো যোগ করে সুখের ভাগ বাড়াতে পারেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

প্রতিদিন খেজুর খাবেন যে কারণে

দখিনের সময় ডেস্ক: আপনার কি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য সুস্বাদু কোনো খাবার প্রয়োজন এবং সেইসঙ্গে অতিরিক্ত ওজন কমাতে চাইছেন? এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হতে পারে খেজুর।...

পরীমণি প্রথম স্বামীর পরদিন মারাগেলো প্রথম পরিচালক

দখিনের সময় ডেস্ক: লাইফ সাপোর্টে থেকেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমণির প্রথম সিনেমা ‘ভালোবাসা সীমাহীন’-এর পরিচালক শাহ আলম মণ্ডল।  গুলশানের...

বাউফলে ইউএনও’র বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল

নয়ন সিকদার, বাউফল প্রতিনিধি পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বশির গাজীর বিরুদ্ধে অনিয়ম,দুনীতি ও অপসারনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈশোম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। গতকাল...

নিজের চেয়ার ঠিক রাখতেই ব্যস্ত পুলিশ কর্মকর্তারা

দখিনের সময় ডেস্ক: জুলাই ২৪-এর আন্দোলনে গণহত্যার জন্য একক বাহিনী হিসেবে পুলিশকে দায়ী করা হয়। মানুষের ক্ষোভের আগুনে পুড়েছে বাহিনীটির শতশত থানা, যানবাহন। জীবন গেছে...

Recent Comments