বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:
ফেসবুক পোস্টে হা হা রিএক্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) দুই শিক্ষার্থীর মধ্যকার মারামারির ঘটনা অবশেষে প্রক্টর অফিস পর্যন্ত গড়িয়েছে। আজ শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় অভিযুক্ত ঐ দুই শিক্ষার্থীদের নিয়ে আলোচনায় বসেন শিক্ষকবৃন্দ। সেখানে অভিযুক্ত দুজন একে অন্যের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চান। ঐ ঘটনায় চোখে আঘাতপ্রাপ্ত বাংলা বিভাগের ২০১৮ – ১৯ সেশনের শিক্ষার্থী জাকির হোসেনকে চিকিৎসা ব্যায় বাবদ ক্ষতিপূরণ দেবার প্রতিশ্রুতি দেন সহপাঠী শান্ত ইসলাম আরিফ।
জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যায় আলোচিত এই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে নিজ কার্যালয়ে ডাকেন প্রক্টর ড.মোঃ আবদুল কাইয়ুম। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন ড.তানভীর কায়সার। মারামারির ঘটনায় দুজন শিক্ষার্থীই একে অন্যের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
এ ব্যাপারে নবনিযুক্ত প্রক্টর ড.মোঃ আবদুল কাইয়ুম বলেন, ফেসবুকে দুই বন্ধুর রিএক্ট দেয়া নিয়ে যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে সেই বিষয়ে দুই পক্ষকে নিয়েই বসেছি। তারা একে অন্যের কাছে ক্ষমা চেয়েছে এবং চোখে আঘাতপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা খরচ বাবদ ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের যেকোনো অভিযোগের তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক বিচারের ব্যবস্থা করবেন বলেও আশ্বস্ত করেন।
আহত জাকির হোসেন বলেন, “আমরা দুজনই দুজনার বন্ধু এবং সহপাঠী। তাই বিষয়টি আমি এখানেই সমাপ্ত করতে চাচ্ছি এবং আমার আঘাতকারীকে আমি ক্ষমা করে দিয়েছি। আজ (শনিবার) রাতে প্রক্টর স্যার আমাদেরকে ডেকেছিলেন এবং দুজনকে মিলিয়ে দিয়েছেন।”
আর শান্ত ইসলাম আরিফ বলেন, “তৎক্ষনাৎ উত্তেজনায় আমি একটি ভুল করেছি। বিষয়টি এতদূর গড়াবে সেটি বুঝতে পারি নি। দিনশেষে আমরা দুজন বন্ধু। তাই বন্ধুত্বের জায়গা থেকে বিষয়টিকে আর টেনে নিতে চাই নি। জাকিরের চিকিৎসা খরচের সম্পূর্ণ ব্যায়ভার আমি বহন করবো। ইতোমধ্যে তাকে চিকিৎসা খরচের অর্ধেক টাকা দিয়ে দেয়া হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, ফেসবুকে হা হা রিয়্যাক্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) দুই শিক্ষার্থীর মাঝে মারামারির ঘটনা ঘটে গত ২৫ ডিসেম্বর রাত ১০টায়। ওই ঘটনায় আহত হন মারামারিতে জড়ানো বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ২ শিক্ষার্থী। আহতরা হলেন একই বিভাগের সহপাঠী শান্ত ইসলাম আরিফ এবং জাকির হোসেন।
শান্ত ইসলাম আরিফের ছবিতে জাকির হোসেন হা হা রিয়্যাক্ট দেওয়ায় দুজনের মাঝে মেসেঞ্জারে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ক্যাম্পাস সংলগ্ন ভোলা রোডের ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে দুইজন হাতাহাতিতে জড়ায়।অভিযোগ ওঠে জাকির হোসেনের মুখমণ্ডলে ঘুষি মারেন শান্ত অপরদিকে শান্তর হাতের আঙুলে কামড় দেয় জাকির।