ঢাকায় গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশের আগে বিএনপির তৃণমূলের কর্মীদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস-উত্তেজনা ছিল, তাতে এখন প্রচণ্ড ভাটির টান স্পষ্ট। দলটির ফেসবুক পেইজের ভিডিওতে লাইক, কমেন্ট ও শেয়ারের সংখ্যাও কমেছে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগেই। এখন শূন্যের ঘর ছুঁইছুঁই। যদিও এক বছর ধরে নেতারা বলে আসছিলেন, তাদের ‘চূড়ান্ত আন্দোলনে’ লক্ষ্য থাকবে ঢাকা।
তবে হরতাল ও অবরোধের টানা কর্মসূচিতেও মিছিল চোখে পড়েছে কালেভদ্রে। আর মহাসমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের পরদিন ২৯ অক্টোবর থেকে টানা কর্মসূচি শুরুর পর দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের একাংশ কারাগারে, বাকিরা আত্মগোপনে। নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় হয় তালাবন্ধ। দীর্ঘ সময় পর নিজ অফিসের বন্ধ তালা ভাঙার বিষয়টি এমন বীরদর্পে করা হয়েছে যেন একটি বিশাল কাজ করে ফেলেছে। এক সময় স্লোগান দেওয়া হতো, ‘জেলের তালা ভাঙব, অমুক ভাইকে আনব।’ এই স্লোগানের আদলেই হয়তো বিএনপি নিজের অফিসের তালা ভেঙেছে।
বিএনপির নিজ অফিসের তালা ভাঙ্গার কোনো প্রভাব পড়েনি রাজনীতিতে, বরং অনেকেরই হাসির উদ্রেক করেছে। আবার প্রধানমন্ত্রীসহ অনেকেরই রবীন্দ্রনাথের সেই গানটি মনে করিয়ে দিয়েছে, ‘ভেঙে মোর ঘরের চাবি নিয়ে যাবি কে আমারে ও বন্ধু আমার! না পেয়ে তোমার দেখা, একা একা দিন যে আমার কাটে না রে..।’