দখিনের সময় ডেস্ক:
যুক্তিসঙ্গত ও সহনশীল মূল্য বজায় রাখতে বরিশালে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানের একদিন পরেই চিত্র উল্টে গেছে। ক্রেতা পর্যায়ে দাম হ্রাস পাওয়ার বিপরীতে হঠাৎ করে বেড়ে গেছে পেঁয়াজের দাম। বরিশালের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার হাটখোলা পেঁয়াজপট্টি ঘুরে দেখা গেছে, আকার ভেদে ৯০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। একই চিত্র দেখা গেল শহরের বাংলা বাজারে। সেখানেও আকারভেদে ৯০ থেকে ১১০ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজপট্টির ব্যবসায়ী এনামুল হক বলেন, এই মৌসুমে মুড়ি কাটা ও হালি পেঁয়াজ পাওয়া যায়। মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজার থেকে শেষ হয়ে গেছে। নতুন হালি পেঁয়াজ এসেছে। এই পেঁয়াজের দাম মোকামেই বেশি। পাইকারী ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বলেন, এক সপ্তাহ আগেও আমরা ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করেছি। এরপর ওই দামেই স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু মোকামে দাম বেড়ে যাওয়ায় সোমবার থেকে পুরাতন পেঁয়াজ ৯০ টাকায় আর নতুন পেঁয়াজ ১০০/১১০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের আসলে করার কিছুই নেই। মোকামে দাম বাড়লে আমাদের অল্প লাভ করে বেশি দামেই ছেড়ে দিতে হয়। এক-দু দিন বেশি আড়তে রাখলে পচে যায়।
প্রসঙ্গত, ২৭ জানুয়ারি (শনিবার) বরিশালের ফরিয়াপট্টি, চকবাজার এলাকার পাইকারি বাজার পরিদর্শন করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম. সফিকুজ্জামান। তিনি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং অহেতুক মূল্য না বাড়ানোর জন্য বলেন। পাশাপাশি বাজারমূল্য বাড়ানোর নেপথ্যে সিন্ডিকেট রয়েছে বলেও জানান। তিনি চলে যাওয়ার একদিন পরে ২৯ জানুয়ারি হঠাৎ করেই পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হয়। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগের উপ-পরিচালক অপূর্ব অধিকারী বলেন, পেঁয়াজের দাম হঠাৎ করে বেড়েছে বলে আমরাও জেনেছি। বাজার মনিটরিংয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নিয়মিত কাজ করছে।