করোনার নমুনা সংগ্রহ ও ভুয়া প্রতিবেদন দেওয়ার অভিযোগে ২০২০ সালের ১২ জুলাই ডা. সাবরিনাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে তার স্বামীসহ আরও কয়েকজন গ্রেপ্তার হন। আদালতের রায়ে সাজা হয় তাদের। জেল থেকে বের হওয়ার পর ৫ ফেব্রুয়ারি সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের কারাগারগুলোতে সমকামিতার বিষয়ে মন্তব্য করেছেন ডা. সাবরিনা। বলেছেন পরকীয়া নিয়েও।
বইমেলায় এ নিয়ে তিনি খোলামেলা কথা বলেছেন। একই সময় তার নিজ অনুভূতি এবং কারাগার প্রসঙ্গে আরও অনেক কথা বলেছেন। তার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে পরদিন ৬ ফেব্রুয়ারি কথা বললেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুসারে তিনি বলেছেন, ‘ডা. সাবরিনা যদি কারা কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ করেন, তবে এ বিষয়ে তদন্ত হওয়া উচিত।’ হয়তো ভাবখানা যেন এই—ডা. সাবরিনা মনগড়া কথা বলেছেন।
কারাগারে আসলে কী হয়, কী চলে তা নিয়ে অনেক রটনা আছে। এর অনেক নিশ্চয়ই ঘটনাও। এসব বিষয় উঠে এসেছে অনেক গল্প-উপন্যাস-নিবন্ধে। কিঞ্চিৎ আমি নিজেও দেখে এবং অনুমান করার সুযোগ পেয়েছি ১৯৯৬ সালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ১৮ দিন থাকাকালে। সেই কথা বললে হয়তো ডিবিপ্রধান আমাকেই ধরে নিয়ে যেতে পারেন। প্রসঙ্গত, পত্রিকা অফিসে বসে ‘সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত’ করার অভিযোগ সাজিয়ে ৫৪ ধারা বলে আমাকে যিনি নয়াপল্টনের অফিস থেকে এক বিকেলে ধরে নিয়েছিলেন, তিনি ছিলেন সেই সময় ঢাকার ডিবিপ্রধান, সৈদয় বজলুল করিম। তিনি তখন খুবই ক্ষমতাবান এবং বেপরোয়া পুলিশ। অনেক কাণ্ডের সঙ্গে তিনি ডিএমপি কমিশনারকে চ্যালেঞ্জ করার কাণ্ডও করেছেন সেসময়। যাক সেটি ভিন্ন প্রসঙ্গ। লেখক: জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক
# দৈনিক কালবেলায় প্রকাশিত, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, শিরোনাম, ‘ডা. সাবরিনা এবং ডিবিপ্রধান