দখিনের সময় ডেস্ক:
খাবারের স্বাদ, রঙ ও পুষ্টির জন্য ব্যবহার করা হয় মরিচের গুঁড়া। এটি পরিমিত ব্যবহার করলে ঠিক আছে। কিন্তু অনেকে রান্নাকে আকর্ষণীয় করার জন্য অতিরিক্ত মরিচের গুঁড়া ব্যবহার করেন। ফলে খাবারটি দেখতে লোভনীয় হয় কিংবা খেতেও সুস্বাদু লাগে ঠিকই কিন্তু শরীরের জন্য হয়ে দাঁড়ায় ক্ষতির কারণ। আপনি হয়তো জানতেও পারেন না এই সাধারণ অভ্যাস আপনার শরীরে কী সমস্যা তৈরি করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১. আলসার হতে পারে: খাবারে অতিরিক্ত মরিচের গুঁড়া ব্যবহার করলে স্টমাক আলসার হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। পরবর্তীতে ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনতে পারে এই রোগ। মরিচের গুঁড়ায় থাকে অ্যাফলাটক্সিন। সেখান থেকে স্টমাক আলসার, লিভার সিরোসিস, এমনকী কোলন ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। তাই খাবারে মরিচের গুঁড়া ব্যবহারের সময় একটু রয়েসয়ে ব্যবহার করুন।
২. গর্ভবতীদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে: গর্ভবতীদের অনেক খাবারের ক্ষেত্রেই সতর্ক থাকতে হয়। তেমনই একটি হলো মরিচের গুঁড়া। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গর্ভাবস্থায় অনেক বেশি মরিচের গুঁড়া যুক্ত খাবার খেলে বাড়তে পারে শ্বাসকষ্টের সমস্যা। গর্ভস্থ শিশুরও হতে পারে শ্বাসকষ্ট। তাই গর্ভাবস্থায় মরিচের গুঁড়া যতটা সম্ভব কম খাবেন।
৩. অ্যাজমার সমস্যা বাড়ায়: রান্নায় অতিরিক্ত মরিচের গুঁড়া ব্যবহার করবেন না। কারণ এভাবে খাবার রান্না করে খেলে তা অ্যাজমার সমস্যা অনেকটাই বাড়িয়ে দিতে পারে। যাদের আগে থেকেই অ্যাজমার সমস্যা আছে তারা অতিরিক্ত মরিচের গুঁড়া যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলবেন। এতে সুস্থ থাকা সহজ হবে।
৪. মুখে ঘা হতে পারে: মুখে ঘা হলে অনেক ভুগতে হয়। তাই বিভিন্ন খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে, বিশেষ করে যেগুলো এই সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে। তেমনই একটি হলো মরিচের গুঁড়া। অতিরিক্ত মরিচের গুঁড়া দেওয়া খাবার খেলে মুখে ঘা হওয়ার ভয় থাকে। এটি এমনিতেই ঝাল, তার ওপরে অতিরিক্ত ব্যবহার করার ফলে আরও বেশি ঝাল হয়ে যায়। সেখান থেকেই বাড়ে সমস্যা।
৫. ডায়রিয়া হতে পারে: খাবারে অনিয়মের কারণে হতে পারে ডায়রিয়ার মতো সমস্যা। যেসব খাবারে অতিরিক্ত মরিচের গুঁড়া ব্যবহার করা হয় সেগুলো খেলে বাড়তে পারে হজমের সমস্যা। সেখান থেকে দেখা দিতে পারে ডায়রিয়া। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, খুব মসলাদার খাবার খেলে তা খাবারের সমস্ত পুষ্টিগুণ কেড়ে নেয়। যে কারণে হজমের সমস্যা দেখা দেয়। অতিরিক্ত মরিচের গুঁড়া অনেক ক্ষেত্রে বমি বমি ভাবের কারণ হতে পারে।
