এ ব্যাপারে কোনোই সংশয় নেই, রেস্তোরাঁগুলো যথাযথভাবে পরিচালিত হচ্ছে না। যার চরম মূল্য দিতে হয়েছে বেইলি রোডের ২৯ ফেব্রুয়ারি। এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রামে এস আলম গ্রুপের চিনির গুদামের আগুনকে কোন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হবে? নাকি কেবল ফাঁসি হবে চিকন আলীর।
বেইলি রোডে রেস্তোরাঁয় আদম সন্তান পুড়ে মরেছে আর এস আলমের চিনির গুদামে যা পুড়েছে তা কিন্তু ডলার দিয়ে দেশে আনা হয়েছে। মানুষের জীবনের সঙ্গে অন্যকিছুর তুলনা হয় না। কিন্তু সংকটের সময় ডলারের বিষয়টিও তো বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন। আর পোড়া চিনির বর্জ্যে কর্ণফুলী নদী এবং পরিবেশের যে সর্বনাশ হয়েছে তা-ও তো বিবেচনায় নেওয়া জরুরি। রাষ্ট্রের খতিয়ে দেখা প্রয়োজন, এস আলমের চিনির গুদামে কি যথাযথ সতর্কতা গ্রহণ করা হয়েছিল? এটা না করা হলে জাতির কাছে অন্য মেসেস যাবে। এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ্ন হবে চরমভাবে।
আরেকটি প্রশ্ন কিন্তু প্রকট হয়েছে, অপরিশোধিত চিনির মতো তীব্র মাত্রার দাহ্য বস্তুতে ভয়াবহ আগুন নেভাতে পানির ব্যবহার ফায়ার সার্ভিসের কোন ধরনের সক্ষমতার দৃষ্টান্ত? তাহলে কি সরকারি এ সংস্থাটি পাবলিককে হাই কোর্ট দেখানোর কৌশল হিসেবে পাটগাছ কাটার সক্ষমতা নিয়ে বটগাছ কাটার কসরত করে যাছে! আরও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, এ রেস্তোরাঁ এবং এস আলমের চিনির গুদামে নজর রাখার জন্য সরকারের যে সংস্থাগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দায়িত্ব পালন করেছেন তাদেরকে কেন আইনের আওতায় আনা হবে না? কে জবাব দেবে!
# বাংলাদেশ প্রতিদিন-এ প্রকাশিত, ২১ মার্চ ২০২৪, শিরোনাম “আগুন রহস্য : যেসব প্রশ্ন জনমনে