বিশেষ প্রতিনিধি:
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপর তারেক রহমানের বিরক্তি ও অবিশ্বাস চরমে পৌছেছে। ফলে তার বিদায় ঘন্টা বেজে গেছে। তবে তাকে বহিস্কার নাকি অব্যাহতি দেয়া হবে নাকি পদ্যাগ করঅর সুয্গে দেয়া হবে তা এখনো পরিস্কার নয়। তবে এনিয়ে রাজণৈতিক অঙ্গনে নানান গুঞ্জন চলছে। তবে সূত্র বলছে, ‘স্বেচ্ছায় পদ ছেড়ে দেবার’ সুযোগ দেয়া হতে পারে মির্জা ফখরুলকে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি মহাসচিব পদে না থাকলে এ দায়িত্বে নতুন কে আসতে পারেন সে বিষয়ে দলটির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে আলোচনা চলছে। তবে মির্জা ফখরুল ইসলামের মতো একজন সর্বজনগ্রাহ্য জনপ্রিয় নেতার মহাসচিব পদ থেকে অব্যাহতির প্রসঙ্গটি দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে অস্বস্তি তৈরি করেছে। এদিকে দিন দিন রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নেতৃত্বের সংকট বেড়েই চলেছে। টানা ১৮ বছর দলটি ক্ষমতার বাইরে। এক দফা বাস্তবায়নের দাবিতে বছরের অধিক সময় ধরে চলা বিএনপির রাজপথের আন্দোলনে চূড়ান্ত সাফল্য আসেনি। এতে দলটির নেতা-কর্মীদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা বিরাজ করছে। দলের সাংগঠনিক অবস্থা দিন দিন ভেঙে পড়ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পরিস্থিতি অনুযায়ী দল পরিচালনা করতে ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি। দেশের বাস্তবতাকে উপেক্ষা করে লন্ডন থেকে দল পরিচালনা সম্ভব নয়। এমন বাস্তবতায় দলের মহাসচিবের নেতৃত্ব থেকে সরে যেতে চাইছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, অথবা তাকে সড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। সূত্র বলছে, কারামুক্তির পর দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে মির্জা ফখরুল নিজেই বিষয়টি তুলে ধরেছেন। এদিকে অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে আছেন। বর্তমানে তিনি রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রবাসে। বিএনপির দায়িত্বশীল নেতাদের কেউ কেউ বলছেন, মহাসচিব বদল নতুন কিছু নয়। দলের প্রয়োজনে নেতৃত্বে পরিবর্তন একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এ অবস্থায় মহাসচিব পদে আগ্রহী একাধিক স্থায়ী কমিটির সদস্য বর্তমানে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে চলেছেন।