দখিনের সময় ডেস্ক:
প্রতি বছর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ৪৫ থেকে ৫৫ লাখ মানুষ সাপের কামড়ের শিকার হয়। এর মধ্যে ৮০ হাজার থেকে ১লাখ ৪০ হাজারের মতো মানুষ মারা যায় বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ধারণা করছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, সারাবিশ্বে অসংক্রামক রোগের মধ্যে সাপের কামড়ে মৃত্যু বিষয়টি এখনো বেশ উপেক্ষিত আছে।
সারা বিশ্বে সাপের দংশনের শিকার হয় যে ৪৫ লাখ মানুষ, তাদের মধ্যে ২৭ লাখ পুরুষ, নারী এবং শিশু শারীরিকভাবে বড় ধরনের ক্ষতির শিকার হয় বলে জানাচ্ছে বেসরকারি সংস্থা গ্লোবাল স্নেকবাইট ইনিশিয়েটিভ। সাপের দংশন যে কতটা ব্যাপক সমস্যা, বহু মানুষই তা বোঝে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মনে করে, সাপের দংশন কোন কোন সম্প্রদায়ের জন্য বিশাল একটা সমস্যা, এবং সেই বিবেচনা থেকে তারা সম্প্রতি সর্প-দংশনের কারণে মানুষের শরীরে ঘটা বিষক্রিয়াকে উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলের একটা উপেক্ষিত রোগ হিসাবে শ্রেণিভুক্ত করেছে। সাপে কাটাকে এখন বিশ্বের সবচেয়ে উপেক্ষিত একটি স্বাস্থ্য সমস্যা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে – যে সমস্যা বিশ্বের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যের ওপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
২০২৩ সালে প্রকাশিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, দেশে প্রতি বছর প্রায় চার লাখ তিন হাজার মানুষ সর্প দংশনের শিকার হয় এবং তাদের মধ্যে সাত হাজার ৫১১ জন প্রতি বছর মারা যায়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ ইউনিট এ গবেষণাটি করেছিল। সাপের কামড়ের সব ঘটনার মধ্যে এক চতুর্থাংশ বিষাক্ত, যার ১০ দশমিক ছয় শতাংশ শারীরিক ও এক দশমিক নয় শতাংশ মানসিক অক্ষমতা দেখা যায়।
সাপের কামড়ের মধ্যে ৯৫ শতাংশ ভুক্তভোগী গ্রামীণ অঞ্চলের এবং নারীদের তুলনায় এক দশমিক চার শতাংশ বেশি পুরুষ সাপের কামড়ের ঝুঁকিতে থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, যেসব জনগোষ্ঠী সাপের কামড়ের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে তাদের মধ্যে রয়েছেন গ্রামের দরিদ্র মানুষ, কৃষি শ্রমিক, জেলে।