দখিনের সময় ডেস্ক:
ঝালকাঠিতে গাবখান সেতু টোলপ্লাজায় সিমেন্টবোঝাই ট্রাক-প্রাইভেটকার ও অটোরিকশার ত্রিমুখী সংঘর্ষে ১৪ জন নিহতের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। ঈদের পরে গত ১৭ এপ্রিল ঝালকাঠির গাবখান সেতু টোলপ্লাজায় সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাক, একটি প্রাইভেটকার এবং দুটি অটোরিকশার সংঘর্ষে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৬ জনসহ ১৪ জন নিহত হন। খুলনা থেকে আসা সিমেন্টবোঝাই ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দিলে পাশে থাকা তিনটি অটোরিকশার ওপর গিয়ে পড়ে। আহত হন ২০ জনের মতো। খবর সূত্র: ইত্তেহাদ নিউজ।
ঘটনার পরপরই গাবখান সেতুসংলগ্ন দুর্ঘটনার জন্য ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরোজকে প্রধান করে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিতুল ইসলাম, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ঝালকাঠি জোনের সহকারী পরিচালক (প্রকৌশল) মো. মাহবুবুর রহমান ও বুয়েটের অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এআরআই) সহকারী অধ্যাপক ড. আরমানা সাবিহা হককে সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে চালকদের লাইসেন্স ও বাসের ফিটনেস না থাকা, ওভারটেকিং করা, সড়কে অবৈধ যান, সড়কের অবকাঠামোয় ত্রুটি, ট্রাকে ওভারলোড, অতিরিক্ত গতি এবং গতিরোধের জন্য নির্দেশনা না দেওয়াকে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ দুর্ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে বেশ আলোচনার সৃষ্টি হয়। ঈদযাত্রার আলোচিত এ দুর্ঘটনার কারণ জানাতে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এ বিষয়ে কথা হলে তদন্ত কমিটির সদস্য বুয়েটের এআরআইর সহকারী অধ্যাপক ড. আরমানা সাবিহা হক বলেন, আমি অনেক সড়ক দুর্ঘটনার তদন্ত করেছি। কিছু বিষয় ছাড়া সড়কের অবকাঠামো ত্রুটি চিহ্নিত করা হয় না। এ ছাড়া দুর্ঘটনা ঘটলে প্রথমেই আমরা চালককে দোষারোপ করি। কিন্তু সড়কের অবকাঠামো ত্রুটির বিষয়টি সামনে আনে না কেউ। দুর্ঘটনা কমাতে হলে শুধু সড়কের উন্নয়ন করলেই হবে না, অবকাঠামোগত ত্রুটি দূর করতে হবে।