দখিনের সময় ডেস্ক:
জ্যামিতির কম্পাস হলো লেখা পড়ার উপকরণ। কিন্তু এটি হয়ে উঠলো খুনের হাতিয়ার। আর এ দিয়েই ছেলেন হাতে খুন হলো বাবা। জ্যামিতি বক্সের কম্পাসের আঘাতেই জীবন গেল । কম্পাস দিয়ে কলেজ পড়ুয়া ছেলে মারুফ আহম্মেদ রাব্বি এলোপাতাড়ি বুকে আঘাত করায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন স্কুল শিক্ষক মজিবুর রহমান পান্না।
বাবার দ্বিতীয় বিয়ে এবং মায়ের ওপর হওয়া অত্যাচার মেনে নিতে না পেরে এমন কাণ্ড ঘটান তিনি। ছেলের হাতে বাবার এমেন মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার পূর্ব ভালুকার কোনাপাড়া এলাকায়। নিহত মজিবুর রহমান পান্না স্থানীয় মিরকা হাসিনা বানু উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আর অভিযুক্ত রাব্বি, মজিবুর রহমান পান্নার প্রথম স্ত্রীর সন্তান। স্থানীয়রা জানান, মজিবুর রহমান পান্না দ্বিতীয় বিয়ে করায় অনেক দিন থেকেই তাদের পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পরেও সেখানে যাতায়াত থাকায় ক্ষুব্ধ ছেলে ঝগড়ার এক পর্যায়ে বাবাকে আঘাত করে।
এদিকে ছেলের বিরুদ্ধে ভালুকা মডেল থানায় হত্যা দায়ের করেছেন মা রোকেয়া আক্তার। ভালুকা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ্ কামাল আকন্দ জানান, ঘটনার পরপরই ছেলে রাব্বিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সে একটি জ্যামিতি বক্সের কম্পাস দিয়ে তার পিতাকে আঘাত করে। আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আসামি তার দোষ স্বীকার করেছে।