দখিনের সময় ডেস্ক:
রোগীর চাপ সামলাতে ২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর নির্মাণাধীন নতুন ভবনে মেডিসিন ইউনিট স্থানান্তর করা হয়। ওই ভবনেও মেঝে, বারান্দা ও টয়লেটের সামনে বিছানা পেতে চিকিৎসা নেয় রোগীরা। এরপরও পাঁচতলার এই ভবনের নীচ তলায় বড় বড় দুটি রুমে মেঘনা ব্যাংককে শাখা হিসেবে ভাড়া দেওয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাসপাতালটির বর্তমান পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলামের ছোট ভাই মনির হোসেন মেঘনা ব্যাংকের কর্মকর্তা। তার চাকরি স্থায়ী করন ও ম্যানেজার পদে পদোন্নতির জন্য মেঘনা ব্যাংক কর্তৃপক্ষের চাহিদার প্রেক্ষিতে হাসপাতালে শাখা খোলার অনুমতি দেন পরিচালক এইচএম সাইফুল ইসলাম। শাখা চালু হওয়ার পরে মনির হোসেন এই শাখায় যোগ দিলেও সমালোচনার মুখে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাকে অন্য শাখায় বদলি করে নেন।
২০ হাজার টাকা মাসিক ভাড়ায় মেঘনা ব্যাংকের একটি শাখা স্থাপন করা হয়েছে। এ ব্যাংকে হাসপাতালের কর্মকর্তা, কর্মচারী, চিকিৎসকদের বেতনও আসে না। হাসপাতালের সকল চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন সোনালী ব্যাংক শহীদ মিনার শাখার মাধ্যমে আসে। তাহলে কি প্রয়োজনে তুলনামূলক নতুন ব্যাংকের শাখা বসানো হয়েছে— এ প্রশ্ন সবার মাঝে। সম্প্রতি আউটসোর্সিংয়ে নিযুক্ত লোকবলের সম্মানী মেঘনা ব্যাংকের এই শাখায় আনা হচ্ছে।
বরিশাল বিভাগ ও আশপাশের রোগীদের উন্নত চিকিৎসার একমাত্র ভরসাস্থল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ১০০০ শয্যার এই হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংকটের পাশাপাশি স্থান সংকট তীব্র। বহির্বিভাগে প্রতিদিন ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার রোগী চিকিৎসা নেন। জরুরি বিভাগে ৫৫০ থেকে ৬০০ রোগী চিকিৎসা নেন। এর বেশিরভাগই আবার ভর্তি হন দিনে। ফলে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল হলেও দুই থেকে আড়াই হাজার রোগী হাসপাতালে ভর্তি থাকেন।