ছবির গেলো সব কুল

দখিনের সময় রিপোর্ট:

উপজেলা নির্বাাচনের প্রথম ধাপে বরিশাল সদরে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মালেক। তিন যে চারজনকে পরাজিত করেছেন তাদের মধ্যে সবচেয়ে কম ভোট পেয়েছেন মনিরুল ইসলাম ছবি। মাত্র ৭ হাজার ৮৬৮ ভোট। অথচ তিনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বরিশাল সদর উপজেলা সভাপতি এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন, ভোট প্রাপ্তির ক্ষেত্রে তাঁর এই দৈন্য দশা অনেক কিছুর ইন্ডিকেটর।

সূত্র বলছে, জনপ্রিয়তা ও জনসম্পৃক্তায় বরিশাল আওয়ামী লীগ অনেক পিছিয়ে আছে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে করুণ দশায় আছে বরিশাল সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ। এ সঙ্গে যুক্ত আছে অভ্যন্তরীন কোন্দল ও নেতাদের ল্যাং মারা মারির প্রবণতা। সূত্র বলছে, চাপিয়ে দেয়া নেতৃত্ব গ্রহনযোগ্যতা পাবার দিন আনেক আগে শেষ হয়ে গেছে। এদিকে গত সংসদ নির্বাচনে মনিরুল ইসলাম ছবির দোদুল্যমান অবস্থানও তাঁর জন্য কাল হয়ে থাকতে পারে বলে অনেকেই মনে করেন। তবে কেবল দলের দৈন্য দশা নয়, পরাজয়ের ক্ষেত্রে মনিরুল ইসলাম ছবির ব্যক্তিগত আচার আচরণও অনেকখানি দায়ী বলে কেউ কেউ মনে করেন। তারা বলছেন, অনেক ঘটনাই জনাব ছবির বিপক্ষে গেছে। এর মধ্যে প্রধান হচ্ছে, কাউয়ার চর ফেরিঘাটের ঘটনাবলী।

উল্লেখ্য, মনিরুল ইসলাম ছবি চরকাউয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। সেই পদে ইস্তফা দিয়ে তিনি উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন কিন্তু নির্বাচিত হতে পারেরনি। শুধু তাই নয় নির্বাচনে সর্বনিম্ন ভোট প্রাপ্তি তাঁকে ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিকভাবে অনেক হেয় করেছে। এর ফলে তাঁর ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক বিপক্ষ শক্তি তাকে আরো নিচের দিকে টেনে নামার জন্য সক্রিয় হবে বলে কেউকেউ বলছেন।