উপজেলায় ভাতিজার জোরে চাচা পাস, প্রশ্নবিদ্ধ সংসদ নির্বাচন

দখিনের সময় রিপোর্ট:

বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মালেক। তিনি পেয়েছেন ১৯ হাজার ৮০৭ ভোট। এই স্কুল শিক্ষকের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হয়েছেন বরিশাল প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও সফল ব্যবসায়ী এস এম জাকির হোসেন, বারবার নির্বাচনী অভিজ্ঞতা অর্জনকারী মাহমুদুল হক খান মামুন, গত পাঁচ বছরে পুরো উপজেলা চষে বেড়ানো এ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান মধু ও প্রভাবশালী ব্যক্তি মনিরুল ইসলাম ছবি।

স্কুল শিক্ষক আব্দুল মালেক নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী  হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে যাদেরকে পরাজিত করেছেন তারা রাজনীতি ও ব্যক্তি পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত ও সুপরিচিত। বিপরিতে আব্দুল মালেক একেবারে অপরিচিত মুখ এবং অতি সাধারণ মানুষ। এরপরও তিনি কোন জাদুবলে হেভীওয়েটদেকে টেক্কা দিলেন? রহস্য কী? বলা হয়, রহস্য হচ্ছে তার ভাতিজা সালাউদ্দিন রিপনের প্রভাব।  এই প্রভাব সৃষ্টি হয়েছে নিজের টাকা খরচ করে মানুষের পাশে থাকা এবং সঠিক ছকে কয়েক বছর ধরে সাংগঠনিক তৎপরতা চালানো। এক কথায় ভাতিজার শক্ত ভিতের উপর দাড়িয়েই চাচা পাস করেছেন।

এখানে অন্য কয়েকটি প্রশ্ন সামনে চলে এসেছে। যা গত ৭ জানুারির নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। যেখানে সালাউদ্দিন রিপনের প্রভাবে তার অখ্যাত চাচা হেভিওয়েটদের হারিয়ে পাস করেন সেখানে কোন ইকোয়েশনে তিনি নিজে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বরিশাল সদর আসনে হেরেছেন মাত্র চার মাস আগের সংসদ নির্বাচনে?

উল্লেখ্য, উপজেলার ১০ ইউনিয়নের সঙ্গে মহানগরী যুক্ত হয়ে গঠিত বরিশাল সদর সংসদীয় আসন, তথা বরিশাল-৫। আর নির্বাচনের সময় বরিশাল সিটির সদ্য সাবেক প্রভাবশালী মেয়র সেরনিয়াবাদ সাদিক আদুল্লাহ নিজে টেকনিক্যাল কারণে নিজে প্রার্থী হতে ব্যর্থ হয়ে প্রকাশ্যেই পক্ষ নেন ট্রাকের প্রার্থী সালাউদ্দিন রিপনের পক্ষ নেন। এরপরও কোন খেলায় ভোটের মাঠে দাঁড়াতেই পাড়লেন না সালাউদ্দিন রিপন? এ প্রশ্ন বেশ ঘুরপাক খাচ্ছে ৮ মে বরিশাল সদর উপজেলার নির্বাচনের ফল প্রকাশ হবার পর থেকে।