দখিনের সময় ডেস্ক:
বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সততাসহ ১৮টি গুণাবলী বিবেচনায় নিয়ে বর্তমান সরকার রাষ্ট্রীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার রয়েছে। সাম্প্রতিক সময় এমন বেশ কয়েকজন ব্যক্তির এই পুরস্কার পাওয়া নিয়ে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন বেনজীর আহমেদ। গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, ২০২০-২১ সালে সততাসহ নানা গুণাবলীর কারণে রাষ্ট্রীয় শুদ্ধাচার পুরষ্কার পান সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ। খবরসূত্র: বিবিসি বাংলা।
তবে দুদকের তথ্য বলছে, যে বছর মি. আহমেদ এই শুদ্ধাচার পুরস্কার পান ঐ বছরই তিনি ও তার পরিবার ৮৭ দশমিক ৯ একর জমি কিনেছিলেন। সততার জন্য শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রাপ্ত একজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত চলার বিষয়টি কতটা স্বাভাবিক? এমন প্রশ্নে বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, তিনি অনিয়ম দুর্নীতি অনাচারসহ মানুষের অধিকার হরণের বিষয়গুলো ধামাচাপা দেয়ার জন্যই এই পুরস্কার নিজে থেকে গ্রহণ করেছেন। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ”এই পুরস্কার যে তিনি পাবেন এই সিদ্ধান্ত তিনি নিজেই নিয়েছেন। পুরস্কার পাওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত একটা ভাল কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।”
চাকরিতে থাকাকালে পুলিশের বেশ কিছু মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারও পেয়েছেন। পাঁচবার পুলিশের সর্বোচ্চ পদক বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (বিপিএম) লাভ করেন তিনি। দুদকের সাবেক মহাপরিচালক মি. ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলেন, যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মতো অভিযোগ ওঠে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে যদি শুদ্ধাচারের পুরস্কার দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়, তখন অন্য দুর্নীতিবাজরা উৎসাহ পায়।