Home শীর্ষ খবর কঠোর নজরদারিতে বিদেশি এনজিও, ২৩ এনজিও বন্ধ

কঠোর নজরদারিতে বিদেশি এনজিও, ২৩ এনজিও বন্ধ

দখিনের সময় ডেস্ক:
বিদেশি অর্থায়নে পরিচালিত এনজিওগুলোর (বেসরকারি সেবা সংস্থা) কার্যক্রম কঠোর নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে। গত জানুয়ারির শুরুতে ১১টি এনজিওর কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এর আগে গত নভেম্বরে বন্ধ হয়েছে ১২টি এনজিওর। গত বছরের নভেম্বরে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এনজিওগুলোকে কঠোর নজরদারিতে আনার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে চলে আসায় সরকারবিরোধী কার্যক্রম রোধে এনজিওর কার্যক্রমে নজরদারির বিষয়ে আরও তৎপর হয় গোয়েন্দা সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। তারা বেশকিছু এনজিওর বিষয়ে আপত্তিকর তথ্য পায়।
দেশের স্বার্থবিরোধী কাজ বন্ধ, সব ধরনের অপতৎপরতা রোধ, মানি লন্ডারিং এবং জঙ্গি অর্থায়ন যাতে না হয় সে জন্য এসব পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে প্রথমত বিদেশি তহবিল ছাড় করার ব্যাপারে এনজিও ব্যুরো থেকে প্রকল্পের খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। অপরদিকে তহবিল ছাড় করার পর কে কী কাজ করছে, তা তিন ধাপে মনিটরিং করা হচ্ছে। সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা, এনজিও ব্যুরো এবং স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে চলছে তিন স্তরে নজরদারির কাজ।
এ প্রসঙ্গে এনজিও ব্যুরোর মহাপরিচালক কেএম আবদুস সালাম বলেন, এনজিওগুলোর কার্যক্রম আমরা মনিটরিং করছি। মাঠপর্যায়ে তৎপরতা বাড়াতে সাম্প্রতিক সময়ে আমার স্বাক্ষরে জেলা প্রশাসককে চিঠি দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি আমাদের কর্মকর্তারাও মাঠে যাচ্ছেন। অন্যদিকে মানি লন্ডারিংয়ের বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিটের সঙ্গে আমরা কাজ করছি। এ ছাড়া সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তৎপর রয়েছে। রোহিঙ্গা এলাকায় বেশকিছু এনজিও কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে বলে জানান এনজিও ব্যুরোর মহাপরিচালক।
এনজিও ব্যুরোর তথ্য অনুসারে বর্তমানে বাংলাদেশে ২৪৯টি এনজিও কাজ করছে। একক দেশ হিসেবে এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। বর্তমানে দেশটির (যুক্তরাষ্ট্র) ৭৯টি এনজিও রয়েছে বাংলাদেশে। অন্য দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাজ্য ৪৪টি, ডেনমার্ক ৫, ফ্রান্স ৮, স্পেন ৪, সৌদি আরব ৬, দক্ষিণ কোরিয়া ১৪, নেদারল্যান্ডস ১১, জাপান ১৭, থাইল্যান্ড ১, ফিনল্যান্ড ২, নরওয়ে ৪, অস্ট্রেলিয়া ১১, সুইজারল্যান্ড ৯, ইতালি ৪, বেলজিয়াম ৩, সুইডেন ৫, সুদান ১, হংকং ২, নিউজিল্যান্ড ২, কুয়েত ২, ভারত ২, কাতার ১, তুরস্ক ১ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের ১টি এনজিও কাজ করছে। এসব এনজিও সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করছে স্বাস্থ্য খাতে। এরপরেই রয়েছে শিক্ষা। গত ১০ বছরের মধ্যে বিদেশি এনজিওগুলোর নামে প্রতিবছর গড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা ছাড় হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

ফোন চার্জ হতে দেরি হয় কেন?

দখিনের সময় ডেস্ক: ফোন ছাড়া জীবন অচল। ঘুম থেকে উঠেই সবাই আগে মোবাইল খুঁজে। ঘুমানোর আগেও কমবেশি সকলের নজর থাকে মোবাইল স্ক্রিনেই। অনেক সময়ই দেখা...

ভিটামিন সি এর অভাব হলে শরীরে যা ঘটে

দখিনের সময় ডেস্ক: ভিটামিন সি আমাদের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি প্রাকৃতিক উৎসের মাধ্যমে সহজে পাওয়া যায়, তবুও অনেকের ভিটামিন সি...

বাংলাদেশের বিপ্লব বিশ্বজুড়ে প্রেরণা জোগাবে : জাতিসংঘে ড. ইউনূস

দখিনের সময় ডেস্ক: জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ দিচ্ছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময়...

জাতিসংঘে ‘তিন শূন্য’ তত্ত্বের ওপর গুরুত্বারোপ ড. ইউনূসের

দখিনের সময় ডেস্ক: শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বজুড়ে আলোচিত তার তিন শূন্য তত্ত্বের জন্য। সেগুলো হচ্ছে— দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনা।...

Recent Comments