• ২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এজেন্ডাধারী এনজিও’র প্রেসক্রিপশনে শিক্ষানীতি তৈরি করা হয়েছে, জাতীয় সেমিনারে বক্তারা

দখিনের সময়
প্রকাশিত জুন ৮, ২০২৪, ০৬:৩৪ পূর্বাহ্ণ
এজেন্ডাধারী এনজিও’র প্রেসক্রিপশনে শিক্ষানীতি তৈরি করা হয়েছে, জাতীয় সেমিনারে বক্তারা
সংবাদটি শেয়ার করুন...
দখিনের সময় ডেস্ক:
বিদেশি কিছু এজেন্ডাধারী এনজিও সেবার নামে বাংলাদেশে স্বাধীনতাবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এমনকি এই এনজিও’র প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী, ধর্ম ও দেশবিরোধী শিক্ষানীতি তৈরি করা হয়েছে। এরা সেবা ও সহায়তার নামে জনগণকে শোষণ করে যাচ্ছে। এদের মূল উদ্দেশ্য বাংলাদেশের মতো মুসলিম দেশগুলোতে পাশ্চাত্যের বিকৃত জীবনাচার ও সমকামিতার প্রসার ঘটিয়ে অশ্লীলতা ছড়িয়ে দেওয়া।
রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ৩ জুন ‘সচেতন নাগরিক সমাজ’ কর্তৃক আয়োজিত ‘দেশবিরোধী এনজিও’র সাম্রাজ্যবাদী ও ধর্মবিরোধী অপতৎপরতা’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, বিদেশিও এজেন্ডাধারী কিছু এনজিও সেবার নামে এ দেশে বড় ধরনের ব্যবসা করছে, সহায়তার নামে জনগণকে শোষণ করে যাচ্ছে, পার্বত্য চট্টগ্রামকে নিয়ে দেশের স্বাধীনতাবিরোধী ষড়যন্ত্রেও তারা লিপ্ত রয়েছে। এদের উদ্দেশ্য সেবা নয়, বরং শোষণ করা অশ্লীলতা ছড়িয়ে দেওয়া। এরা অর্থের বিনিময়ে মুসলমানদের ঈমান ক্রয় করছে। মুসলিমদের মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছে বেহায়াপনা ও অশ্লীলতা। ব্র্যাক, গ্রামীণ, আশাসহ, বন্ধু সোশ্যালসহ বহু দেশি ও বিদেশি এনজিও রয়েছে। যারা এসব এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে। তাদের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ীই তৈরি হয়েছে ধর্ম ও দেশবিরোধী শিক্ষানীতি।
বক্তারা দেশ ও ধর্মবিরোধী চক্রান্তে জড়িত এনজিও’র বিষয়ে সজাগ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যেসব এনজিও এসব কুৎসিত কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত, তাদের সামাজিকভাবে বয়কটের করতে হবে। সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো এই ভূখণ্ডকে নিয়ে গভীর সব ষড়যন্ত্রের জাল বিছিয়ে রেখেছে। আর এনজিওগুলো তাদের এজেন্ট হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। যাদের মধ্যে ব্র্যাক, গ্রামীণ ব্যাংক, বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি, আশা, প্রশিকা, কেয়ার, স্বনির্ভর বাংলাদেশ, টিএমএসএস, কারিতাস প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
অধিকার, অর্থসহায়তা ও স্বাস্থ্যসেবার আড়ালে সমকামিতা ও ট্রান্সজেন্ডারের মতো বিকৃত মতবাদ প্রচারে কাজ করছে তারা। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে সিএনএন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে জানা গেছে, বাংলাদেশে সমকামিতা ও ট্রান্সজেন্ডারবাদ প্রচারে সরাসরি অনুদান দিয়ে যাচ্ছে মার্কিন সরকার। তাদের এই অর্থ ভোগ করছে ‘বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’ ‘বয়েস অব বাংলাদেশসহ বিভিন্ন সমকামী এনজিও। অন্যদিকে ইহুদি ধনকুবের জর্জ সরোসের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অনুদান পেয়েছে ব্র্যাক। আর জর্জ সরোস হলো সমকামী আদর্শের অর্থ জোগানদাতা। তাদের লক্ষ্য হলো, বাংলাদেশের মতো মুসলিম দেশগুলোতে পাশ্চাত্যের বিকৃত জীবনাচার ও সমকামিতার প্রচার-প্রসার ঘটানো। পাশাপাশি খ্রিষ্টান মিশনারীদের কার্যক্রম বেগবান করা। মুসলিম ভূখণ্ডে বিধর্মী খ্রিষ্টানদের সংখ্যা বৃদ্ধি করা।
সেমিনার বক্তারা আরও বলেন, এ মুহূর্তে সবাইকে ইসলাম বিজয়ের জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বৃহৎশক্তি ছাড়া ইসলামের বিজয় সম্ভব হবে না। এনজিওগুলোর ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ডের বিষয়ে একযোগে কাজ করতে হবে। মসজিদের মিম্বরগুলো থেকে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। জাতীয় ইস্যুগুলোতে বৃহত্তর স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী’র সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. আ.ফ.ম খালিদ হোসাইন, প্রফেসর মোখতার আহমাদ, মুফতী ফয়জুল করীম, মাওলানা সাইয়েদ মুহাম্মাদ হাসান আল-আজহারি, ড. মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বাশার, ডা. শামসুল আরেফীন শক্তি, মুফতি মুহাম্মদ আলী, মাওলানা মুস্তাফিজ রাহমানী, মাওলানা রুহুল আমীন সাদী, মাওলানা আব্দুল হাই মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ, মাওলানা রেজাউল করিম আবরার, মুফতি সাইফুল ইসলামসহ বিশিষ্ট আলেমরা।