Home শীর্ষ খবর কারও উস্কানিতে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে কি না খতিয়ে দেখতে হবে: জামায়াত আমির

কারও উস্কানিতে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে কি না খতিয়ে দেখতে হবে: জামায়াত আমির

দখিনের সময় ডেস্ক:
অধিকারের নামে কেউ বাড়াবাড়ি করছে কি না সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। একইসঙ্গে কোনো মহলের উস্কানিতে দেশের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে কি না সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখতে অন্তর্র্বতী সরকারকে অনুরোধ করেছেন তিনি। আজ (শুক্রবার) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াত আমিরের শপথ অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াত আমির বলেন, একটি চক্র দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলার চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে স্বৈরাচারের পতন পরবর্তী সময়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে অবনতি  হচ্ছে, তা কোনো বিশেষ মহলের উস্কানিতে হচ্ছে কি না সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখতে হবে। কেউ খুন, গুম, ধর্ষণ, লুন্ঠন করলে তার ন্যায় বিচার করতে হবে। সকল ঘটনার ন্যায় বিচার নিশ্চিত হলে কেউ অপরাধ করার দুঃসাহস দেখাবে না।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, সাড়ে ১৫ বছরের কালো মেঘের ছায়া এখনো কেটে যায়নি। এই সময়ে জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন, ব্যক্তি ও দলীয় স্বার্থ দেখার সময় এখন নয়। দল-মত ভিন্নতা থাকলেও জাতীয় ইস্যুতে ঐক্যমত থাকতে হবে। কোনো বিভেদ রাখা যাবে না। নিজের চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়, এই কথা সবাইকে অন্তরে লালন করতে হবে। জাতীয় ইস্যুতে সবাইকে এক থাকতে হবে। আল্লাহর মেহেরবানি পেতে হলে তিনি যা পছন্দ করেন সেটাই করতে হবে।
এ সময় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য সিন্ডিকেটকে দায়ী করে তা ভাঙতে অন্তর্র্বতী সরকারের পাশে থাকার কথাও জানান জামায়াত আমির। তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণে দায়িত্ব নিয়ে সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। জুলাই বিপ্লবের মতো সিন্ডিকেট ভাঙতে জনগণ সহায়তা করবে। দেশের যেকোনো প্রয়োজনে জামায়াতও সবার আগে এগিয়ে যাবে।  ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, বিগত সাড়ে ১৫ বছরে শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ শত শত নেতাকর্মী জুলুমের শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। জুলুমের সব শেষ হয়ে যায়নি, রেশ এখনও রয়ে গেছে। তবে সবসময় জামায়াত সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। প্রতিহিংসা থেকে বিরত থাকতে নেতাকর্মীদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জামায়াত আমির বলেন, স্বাধীন দেশ-জাতি অনেক বেদনাদায়ক দৃশ্য দেখেছে, জাতীয় জীবনে এগুলো অভিশাপ। কেউ জুলুম করুক সেটা চাই না, আমাদের কেউ কারও ওপর জুলুম করুক সেটাও চাই না। বিচারের মাধ্যমে যার যার পাওনা সে পাবে, আইন হাতে তুলে নেওয়া যাবে না। বিচারের নামে জুলুম জামায়াত সমর্থন করে না। বিচারবহির্ভূত কোনো হত্যা জামায়াত কখনো সমর্থন করে না। খুনি হয়ে কেউ জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিক জামায়াত চায় না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

নিজের চেয়ার ঠিক রাখতেই ব্যস্ত পুলিশ কর্মকর্তারা

দখিনের সময় ডেস্ক: জুলাই ২৪-এর আন্দোলনে গণহত্যার জন্য একক বাহিনী হিসেবে পুলিশকে দায়ী করা হয়। মানুষের ক্ষোভের আগুনে পুড়েছে বাহিনীটির শতশত থানা, যানবাহন। জীবন গেছে...

সংস্কারের আগে নির্বাচন করলে কখনোই সংস্কার হবে না: তোফায়েল

দখিনের সময় ডেস্ক: সংস্কারের আগে নির্বাচন করলে আর কখনোই সংস্কার হবে না। জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন সদস্য...

না ভোট ফিরিয়ে আনার সুপারিশ সংস্কার কমিশনের

দখিনের সময় ডেস্ক: সরাসরি রাষ্ট্রপতির নির্বাচন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কোনো প্রার্থী নির্বাচিত না হওয়া, না ভোট ফিরিয়ে আনা ও অর্থের উৎসের স্বচ্ছতা নিশ্চিতসহ বেশ কয়েকটি সুপারিশ...

সুযোগ পেলে গলা চেপে ধরবে আ.লীগ: রিজভী

দখিনের সময় ডেস্ক: গণহত্যার জন্য বর্তমানে আওয়ামী লীগ ক্ষমা চাওয়ার কথা বললেও, সুযোগ পেলে আবারও তারা মানুষের গলা চেপে ধরবে। এমনটাই মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র...

Recent Comments