কানিজ নুসরাত:
বাংলাদেশে ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের মধ্যে তামাক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১,৭২,০০০ এরও বেশি। প্রতি বছর বিশ্ব ব্যাপি ধুমপান জনিত কারনে মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ৬০ লক্ষ্ এবং পরোক্ষ ধোঁয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ্য হবার সম্ভাবনা রয়েছে ৬ লক্ষ অধূমপায়ীর।
তরুন প্রজন্মের উপরে নিভর্র করেই বাংলাদেশ অর্জন করবে উন্নত দেশের মর্যাদা। যুব সমাজ দেশের প্রধান শক্তি। দেশকে সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত করার অন্যতম শর্ত সুস্থ্য যুব সমাজ। শুদ্ধ মনন, সুস্থ চিন্তা ধারার মাধ্যমে নিজেকে, পরিবারকে, সমাজকে এমনকি গোটা জাতিকে গড়ে তোলা সম্ভব।কিন্তু যুবক সমাজ আর শুদ্ধ মনন এর মাঝখানে বাঁধা হয়ে দাড়ায় তামাকজাত পণ্য।
তামাকাসক্ত যুবসমাজ দেশের অগ্রগতির হাতিয়ার না হয়ে অগ্রগতির হাতিয়ার না হয়ে বরং সমাজের ও অর্থনীতির বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, যারা অল্প বয়সে ধূমপানে আশক্ত হয়,তাদের অ্যালকোহলে আসক্ত হয়ে পরার সম্ভাবনা স্বাভাবিকের তুলনায় তিনগুন, গাজায় আসক্ত হয়ে পরার সম্ভাবনা আটগুন এবং কোকেইনের ক্ষেত্রে ২২ গুন বেশি। সুতরাং তামাক ও নিকোটিন কেবলমাত্র আসক্তি ই নয় বরং এগুলো তরুনদের আরো বিধ্বংসী আসক্তির দিকে ধাবিত করে।
অল্প বয়সে তামাক পণ্যের প্রতি আসক্ত হয়ে পরলে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে এবং বয়স বারার সাথে সাথে ফুসফুসের স্বাভাবিক বৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হয়।হৃদরোগ, মানসিক অস্থিতিশীলতা, হতাসাসহ নানান রকম রোগের সৃষ্টি হয়।ইউএস সার্জন জেনারেল রিপোর্ট ২০১৪ অনুযায়ী, প্রায় ৯০ শতাংশ সিগারেট ধুমপায়ী ১৮ বছর বয়সের মধ্যে প্রথমবার ধুমপান করেন।
তামাকাশক্ত অসুস্থ্য প্রজন্ম এই লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করতে পারবে না। তাই তামাকের ছোবল থেকে তরুন প্রজন্মকে রাক্ষা করার লক্ষ্যে দেশব্যাপি ৩১ মে পালিত হয় বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস। বিশ্বজুড়ে ২৪ ঘন্টা সময়সীমা ধরে তামাক সেবনের সমস্ত প্রক্রিয়া থেকে বিরত রাখতে উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে দিবসটি প্রচলিত হয়েছে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ( ডব্লিউএইচও) সদস্য রাষ্ট্র সমূহ ১৯৮৭ সালে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস চালু করে। বিশ বছরের অধিক সময় ধরে দিবসটি সরকার, জনস্বাস্থ্য সংগঠন, ধূমপায়ী, উৎপাদনকারী, এবং তামাক শিল্পের কাছ থেকে উদ্যম ও প্রতিরোধের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে পালিত হয়।
তথ্যসূত্র:উইকিপিডিয়া।