দখিনের সময় ডেস্ক:
মাকে সম্পত্তির জন্য দিনের পর নির্যাতন মারধরের শিকার হতে হয় প্রাণপ্রিয় সন্তানদের হাতেই। শুধু তাই নয়, দাবিকৃত টাকা না দেয়ায় দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি দিয়ে ফেলে হত্যারও চেষ্টা করা হয় ডলি হোসেন নামে ওই বৃদ্ধা মাকে। নির্যাতন সইতে না পেরে অবশেষে পুলিশের দারস্ত হয়েছেন হতভাগ্য ওই বিধবা নারী।
শুক্রবার(৯ জুলিাই) রাজধানীর পল্লবী থানায় ছেলে ঈসমাইল হোসেন জনি ও তার স্ত্রীসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ডলি হোসেন। সন্ধ্যায় পল্লবীর সেকশন-১২, ই-ব্লক এলাকা থেকে অভিযুক্ত জনিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এজাহারে উল্লেখিত অভিযোগের বরাতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্লবী থানার এসআই মো. সজিব খান আমাদের সময়কে জানান, ১২ বছর আগে স্বামীর মৃত্যুর পর বৃদ্ধা ডলি হোসেন তার সন্তানদের মধ্যে সম্পত্তি বণ্টন করে দেন। এরপর সন্তানরা আর তার খোঁজ খবর নেয়নি। উপায়ান্তর না পেয়ে ওই বৃদ্ধা তার বোনের বাসায় ওঠেন।
এসআই মো. সজিব খান আরও জানান, গত ৩০ জুন ছেলে জনিসহ আরও কয়েকজন মিলে ডলি হোসেনের বোনের সেই বাসায় এসেও তালা লাগিয়ে দেন। শুক্রবার সকালে ওই বাসায় উঠতে গেলে জনিসহ অন্যান্য আসামিরা ডলি হোসেনের সাথে বাকতিণ্ডায় জড়ান। একপর্যায়ে টাকার জন্য নিজের মাকেই বেধড়ক মারধরের পর সিঁড়ি থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা চেষ্টা করেন জনি। এতে বৃদ্ধা ডলি হোসেন মারাত্মক আহত হলে ভবনের অন্যান্য বাসিন্দারা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। টাকা চেয়ে না পেয়ে বৃদ্ধা মাকে মরধরের অভিযোগে ঈসমাইল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার জনি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাকে নির্যাতনের কথা স্বীকার করেছেন। মামলায় অভিযুক্ত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্লবী থানার এসআই মো. সজিব খান।