Home বরিশাল ইউএনও মুনিবুর রহমানেরর যত কাহিনী

ইউএনও মুনিবুর রহমানেরর যত কাহিনী

মশিউর রহমান তাসনিম:

বরিশাল সদর উপজেলার ইউএনও মুনিবুর রহমান কথায় কথায় জানান দিতেন, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ছিলেন। কিন্তু তিনি সযত্নে গোপন রাখতেন, বরিশাল জিলা স্কুলের ছাত্র থাকাকালে তিনি ছাত্রদলের কর্মী ছিলেন। সেই সময় তার বন্ধুরা বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয়। অপর একটি অংশ বরিশার আওয়ামী লীগের মূলধারা থেকে বিচ্ছিন অংশে জড়িত।

কেবল রাজনৈতিক আনুগত্য গোপন করা নয়, অনেক অপকর্ম সফলভাবে গোপন রাখতে পেরেছেন বরিশাল সদর উপজেলার ইউএনও মুনিবুর রহমান। তিনি পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ইউএনও ছিলেন। বিসিএস ৩১ ব্যাচের এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সেখানে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠেছে। যদিও এ অভিযোগ তিনি পিআইও তপন কুমারের উপর চাপাবার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কেবল কলা পাড়ায় না, বরিশাল সদরের দায়িতে থাকা কালে তার অনেক দুর্নীতিরকবর চাড়াউর হতে শুরু করেছে।

টাকার গুদামে ছিলেন ১০ আগস্ট বদলীর আদেশ পাওয়া সত্বেও ইউএনও’র পর আকড়ে ছিলেন- এমনটা বলছেন অনেকেই। এ জন্য তিনি রিলিজ না করার অজুহাত দিয়েছেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না তার! ১৮ আসস্টের রহস্যজনক ঘটনার পর তার সকল কাহিনী সামনে চলে এসছে।

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা শহরের বিভিন্ন এলাকার নানান ধরনের ব্যানার বিলবোর্ড অপসারনের অংশ হিসেবে ১৮ আগস্ট রাতে রাত সাড়ে আটটার দিকে সদর উপজেলা কমপ্লেক্স-এ পরিচ্ছন্নতা কাজ শুরু করে।

এসময় ইউএনও মুনিবুর রহমান বেরিয়েেএস বাধা দেন। যেনো কমপ্লেস্কের কেয়ারটেকার অথবা ফাটা কেস্ট! এক পর্যায়ে তিনি কর্তব্যরত আনসারকে ব্যবস্থা নেবার নির্দেশ দেন। আদিষ্ট হয়ে আনসার সদস্যরা মারমুখী হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের রক্ষায় সরকারী দলের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী এগিয়ে আসেন। এ অবস্থায় কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা আরো মারমুখি হয়ে ওঠে।

ইউএনও নির্দেশে গুলি চালানো হয়। ফলে পরিস্থিতি অধিকতর ঘোলাটে হয়ে যায়। অঘটনের খবর পেয়ে বিসিসি মেয়র সেরিনয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ঘটনা স্থালে দ্রুত পৌছান। তিনি নিজের পরিচয় দেন, সকলকে শান্ত হবার আহবান জানান। এরপরও আনসার বাহিনীর গুলী চলেছে।

শুরু থেকে ঘটনাস্থলে থাকা সাংবাদিক খালিদ সাইফুল্লা ও কাজী হাফিজ জানিয়েছেন, অন্তত তিন দফা গুলি বর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। এদিকে নানান সূত্রে জানাগেছে, এসব গুলি বর্ষনের ঘটনা ঘটেছে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসারের দিক থেকে। একই রকম কথা বলেছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক বিধান সরকার। তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন, ‘১৮ আগস্ট রাতে গুলি হয়েছে, গোলাগুলি হয়নি।’ একটি সূত্র বলছে, সেদিন আসলে গোলাগুলির ঘটানোর জন্য ফাঁদ পাতা হয়েছিলো। কিন্তু মেয়র সাদিক কিনারে গেলেও সেই ফাঁদে পা দেননি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

কোথাও সরকারিভাবে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়নি, দেশকে অশান্ত করার ষড়যন্ত্র চলছে

দখিনের সময় ডেস্ক: সরকারিভাবে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়নি জানিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, দেশের পাহাড়ি এলাকাতেও বহুমুখী ষড়যন্ত্র থেমে...

দ্রুত প্রণয়ন করা হবে বিচারক নিয়োগ নীতিমালা: প্রধান বিচারপতি

দখিনের সময় ডেস্ক: প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগে নীতিমালা দ্রুত প্রণয়ন করা হবে। একই সঙ্গে সুনির্দিষ্ট আইনও করা হবে বলে...

গায়েবি মামলার কালচার থেকে বেরিয়ে আসতে হবে: আসিফ নজরুল

দখিনের সময় ডেস্ক: অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, বিচার বিভাগ ব্যবহার করে মানুষকে হয়রানি করার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। বিগত...

ইসরায়েলে মশাবাহিত ‘ওয়েস্ট নাইল’ ভাইরাসে নিহত ৭০, আক্রান্ত ৯১৩

দখিনের সময় ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যের দু’টি দেশ লেবানন ও ফিলিস্তিনে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ইসরায়েল। গাজায় যুদ্ধ শেষ করতে না করতেই, দেশটি নতুনভাবে লেবাননে যুদ্ধ শুরু করেছে। এদিকে, মশাবাহিত...

Recent Comments