দখিনের সময় ডেস্ক:
প্রযুক্তির বিস্ময়কর সৃষ্টি হলো মোবাইল ফোন। বর্তমান বিশ্বে যোগাযোগের সবচেয়ে বড় মাধ্যম হলো এই মোবাইল ফোন ডিভাইস। যোগাযোগের মাধ্যম ছাড়াও এটি শিক্ষা ও গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ইদানীং নিউক্লিয়ার ফ্যামিলির বেশিরভাগ মায়েরা তাদের শিশুদের হাতে এই যন্ত্রটি দিয়ে নিজেদের কর্ম সম্পাদন করে থাকেন।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, মায়েরা তাদের শিশুকে খাওয়ানোর সময় এই ডিভাইসটি ব্যবহার করেন। এর ফলে একসময় এমন অভ্যাসে পরিণত হয়, যেন এ যন্ত্র ছাড়া শিশুকে খাওয়ানো সম্ভবই নয়। এ ছাড়া অনেক দিন ধরে মোবাইল ব্যবহার করলে তাদের কারও কারও মধ্যে স্ক্রিন ডিপেনডেন্সি ডিসঅর্ডারস (ঝউউ) হতে পারে। স্ক্রিন ডিপেনডেন্সি ডিসঅর্ডারস (ঝউউ)-এ শিশুদের মধ্যে কিছু শারীরিক ও মানসিক সমস্যা পরিলক্ষিত হয়। শারীরিক সমস্যা হলো ঘুমের অসুবিধা, পিঠ বা কোমড়ে ব্যথা, মাথাব্যথা, চোখের জ্যোতি কমে যাওয়া, ওজন বেড়ে যাওয়া, পুষ্টিহীনতা ইত্যাদি। শারীরিক অসুবিধা ছাড়াও কারও কারও মধ্যে ইমোশনাল উপসর্গ যেমন- উদ্বিগ্নতা, দোষীবোধ, অসততা, একাকিত্বতা ইত্যাদি হতে পারে।
গবেষণায় দেখাগেছে, অনেক সময় হঠাৎ করে এই মোবাইল ডিভাইস তুলে নিলে তারা মোবাইল থেকে সহজেই বিরত থাকতে পারে না বা মোবাইল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে পারে না। তাদের মধ্যে বাইরে যাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে তাদের মধ্যে বিভিন্ন রকম উপসর্গ প্রকাশ পায়। মোবাইল ফোন সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে ২ থেকে ৫ বছরের শিশুরা। একটি শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশের উপযুক্ত সময় প্রথম ৫ বছর। মস্তিষ্কের স্বাভাবিক বিকাশ হলো ১-৫ বছরের মধ্যে শিশুর ক্রমে ক্রমে কথা বলতে শেখা, হাঁটাচলা শিখা এবং স্বাভাবিক বুদ্ধির বিকাশ হওয়া। এ সময় শিশুর দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইল গেম খেলা, ইউটিউব দেখা এবং অন্যদিকে স্বাভাবিক উদ্দীপনামূলক খেলাধুলা না করায় তার স্নায়বিক বিকাশ ভীষণভাবে ব্যাহত হয়। শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ নির্ভর করে পরিবেশ ও অন্য শিশুদের সঙ্গে শিশুর ভাবের আদান-প্রদানের ওপর। বলা হয়, শিশু শেখে দেখতে দেখতে এবং অন্যদের সঙ্গে খেলতে খেলতে।