শামীম আহমেদ, অতিথি প্রতিবেদক ॥
বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের রাজধর গ্রামের আলোচিত ও বরিশালে দলিল লেখক রেজাউল করীম রিয়াজ হত্যা মামলটি কোতয়ালী মডেল থানার এসি রাসেল, তদন্তকারী এসআই বসিরের করা তদন্তে সত্য ঘটনাকে আড়াল করার অভিযোগ আনা সহ ডিবির তদন্তে তিন খুনিকে প্রেফতার করার মাধ্যমে মামলাটি আলোর মত পরিস্কার করায় ডিবিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন নিহত রিয়াজের স্ত্রী আমিনা আক্তার লিজা।
এসময় তিনি লিখিত বক্তব্যতে বলেন, বিড়ালের শব্দ পেয়ে ঘুম ভেঙ্গে যায় অথচ তিন থেকে চারজন মানুষ ঘরে প্রবেশ করে দলিল লেখক রেজাউল করীম রিয়াজকে গলা কোপ দিয়ে ও কুপিয়ে চলে যাওয়া পর্যন্ত একই ঘরের পাশের কক্ষে থাকা স্ত্রী আমিনা আক্তার লিজা তার স্বামীর কোন ডাক-চিৎকার শুনতে পায়নি বলে সংবাদ সম্মেলনে বলেন নিহত রিয়াজের স্ত্রী আমিনা আক্তার লিজা।
এতে তার মনে হয় তার স্বামীর কয়েকদিন আগে ডিসিনটিরিয়া হয় (পাতলা পায়খানা) তাতে হয়ত লুঙ্গি ভিজে গেছে মনে করে কাছে যেতেই দেখি মুখের উপর একটা বালিশ রাখা রয়েছে আমি বালিশটার পাশ ধরে সরাতে দেখি তার ঘাড়ের বামপাশে রক্ত আর রক্ত। আঘাতের চিহ্ন সহ রক্তে শরীর ভিজে যাওয়া দেখে ঘড়ের দড়জা খুলে ডাক-চিৎকার দিতে থাকেন এতে বাড়ির অন্য লোক কেহ এগিয়ে না আসায় কিছু সময় পর দুরসম্পর্কের মামা শশুর (কালু চৌকিদার ঘড়ে প্রবেশ করে দেখে বলে ওরা খুন করতে এসেছিল ওর ঘরে কিছুই নেয়নি বলে বেড় হয়ে আসে।
সংবাদ সম্মেলনে লিজা বলেন তার স্বামী রিয়াজ হত্যায় থানা পুলিশের এসি রাসেল, তদন্তকারী কর্মকর্তা বসির আহমেদ ও এসআই ফিরোজ আল মামুন সহ ওসির তদন্ত আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে ক্ষমতা অপব্যবহারের মাধ্যমে সত্যকে চাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়।
শনিবার (১২ই সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় বরিশাল প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে রিয়াজের স্ত্রী ও বর্তমান দলিল লেখক রিয়াজ হত্যা পরিবারের দায়ের করা মামলার সন্দ্রেহভাজন আসামী আমিনা আক্তার লিজা কোতয়ালী মডেল থানার তিনজন অফিসারকে দোষী সাবস্থ করেন এবং ডিবি পুলিশের তদন্তেকে ধন্যবাদ জানান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন লিজার পিতা দেলোয়ার হোসেন, মাতা, মনোয়ারা বেগম, মামা রফিকুল ইসলাম, ছোট বোন হারিচা আক্তার মৌ ও ছোট ভাই ইমন হোসেন।
তিন ছিচকে চোরকে আদালতে হাজির করে জবান বন্ধি গ্রহন করা হলে সেখানে কারো সাথে কারো কথার মিল না থাকায় রিয়াজের বড় ভাই হত্যা মামলার বাদী মনিরুল ইসলাম রিপন ৭ই সেপ্টেম্বর বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিন চোরের বক্তব্য তদন্তকারীর কর্মকর্তার সাজানো বলে দাবী করে। এবং একই সাথে মামলাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার মাধ্যমে হত্যাকারী ও হত্যার সহায়তাকারীদের রক্ষা করার মিশনে নেমেছে ডিবি পুলিশ ।বাদী দাবি করেন সঠিক সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে আসল হত্যাকারীকে চিহ্নিত ও পলাতক রিযাজের সহকারী এবং লিজার পরকিয়া প্রেমিক মাসুম দফাদারকে গ্রেফতার করা হলে আসল রহস্য বেড় হয়ে আসবে বলে মনে করেন রিপন।
এদিকে রিয়াজ হত্যা মামলা তদন্তকরা কারটি সঠিক তা নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন উঠেছে। উভয় পক্ষ দাবী করেন আসল চিহ্নিত হত্যাকারীকে আটক করার মাধ্যমে মামলার রহস্য উদঘাটন করা হোক।
এব্যাপারে কোতয়ালী মডেল থানার এসি মোঃ রাসেল আহমেদ ও অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরুল ইসলাম বলেন যেহেতু মামলাটি অন্য একটি সংস্থা তদন্ত করছেন একারনেই আমাদের এই মুহুর্তে প্রতিক্রিয়া জানানো ঠিক হবে না।