বরিশালে শুভ মহালয়া উদযাপন

দখিনের সময় ডেস্ক :

চণ্ডীপাঠ ও আবাহনী গান পরিবেশনের মধ্য দিয়ে বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভ মহালয়া পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মাধ্যমেই দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। বুধবার (০৬ অক্টোবর) ভোর ৬টায় বরিশাল নগরীর স্ব-রোডস্থ রাধা গোবিন্দ নিবাস মন্দিরে মহালয়া উপলক্ষ্যে আয়োজন করা হয় নানা অনুষ্ঠানের।

অগ্রগামী যুব সংঘের আয়োজনে ভোর ৬টায় চণ্ডীপাঠ ও আবাহনী গান পরিবেশন দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। সকাল সোয়া ৮টা পর্যন্ত এই আয়োজন চলে। এর পর মহিষাসুর মর্দিনী নাটিকা উপস্থাপন করা হয়। এ সময় অনেক ভক্ত উপস্থিত ছিলেন মন্দির প্রাঙ্গণে।

রাধা গোবিন্দ নিবাস পূজা উদযাপন পর্ষদের সদস্য সচিব পিন্টু দাস জানান, করোনা সংক্রমণ কমলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই মহালয়াতে সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। গত বছর অনুষ্ঠান করা যায়নি। এবারে ভোর থেকেই অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে, যা সকাল ৯টা পর্যন্ত চলেছে। বহু ভক্ত সমাগম হয়েছে এখানে।

হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি ভানু লাল দে ও সুরঞ্জিৎ দত্ত লিটু জানান, বরিশালের শুধু একটি মন্দিরেই মহালয়া উপলক্ষ্যে বর্ণিল আয়োজন করা হয়। এই দিনেই দেবীপক্ষ শুরু হয়েছে। মর্ত্যলোকে শান্তি ফেরাতে ব্রক্ষ্মা দেব এই দিনে দেবীদুর্গাকে মহিষাসুরকে বধের অনুমতি দেন। টানা ৯ দিন যুদ্ধের পর মহিষাসুরকে বধ করেন দেবীদুর্গা।

আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষ তিথিকে বলা হয় ‘দেবীপক্ষ’। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, এদিন কৈলাসের শ্বশুরালয় ছেড়ে সন্তানদের নিয়ে পৃথিবীতে আসেন দেবীদুর্গা। মণ্ডপে দুর্গাপূজার ক্ষণগণনাও শুরু হয় এদিন থেকে। ১১ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মাধ্যমে দুর্গাপূজার মূল আনু্ষ্ঠানিকতা শুরু হবে। বরিশাল জেলায় ৫৯০টি ও মহানগরে ৪৫টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে এবার।