দখিনের সময় ডেস্ক:
নবম শ্রেণির এক ছাত্রকে এক দিনে একইসঙ্গে করোনার তিন ডোজ ফাইজার টিকা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনা নিয়ে চাটখিল উপজেলায় বেশ তোলপাড় চলছে। এ ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনা খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে এবং অভিযুক্ত টিকাদান কর্মীকে শোকজ করা হয়েছে। বুধবার(১২ জানুয়ারী) বেলা ১১টার দিকে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৫ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী মো. ইয়াছিন হোসেন ওরফে আরাফাত (১৪) উপজেলার ৭ নং হাটপুকুরিয়া ঘাটলাবাগ ইউনিয়নের হাটপুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র এবং একই ইউনিয়নের নেয়াজ আলী বেপারী বাড়ির ইব্রাহীম খলিলের ছেলে।
ভুক্তভোগীর ছাত্রের দাদা আবুল কালাম ভান্ডারী জানান, তিন ডোজ টিকা দেওয়ার পর তার নাতির গলা ব্যাথা ও শরীরে জ্বর দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে পরিবারের স্বজনরা শঙ্কায় রয়েছেন। বর্তমানে সে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে।
হাটকুপুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মো. হানিফ বলেন, বুধবার সকালে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাটপুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থীকে ফাইজার টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার জন্য পাঠানো হয়। একপর্যায়ে ইয়াছিনের বাহুতে পরপর তিন ডোজ টিকা দেয় টিকাদান কর্মী দিদার হোসেন। এরপর অন্য শিক্ষার্থীদের সাথে ইয়াছিন স্কুলে গিয়ে তাকে তিন ডোজ টিকা দেওয়ার কথা আমাকে জানায়। আমি বিষয়টি তাৎক্ষণিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তাদের অবহিত করি।
চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোস্তাক আহমেদ বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনা খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে এবং অভিযুক্ত টিকাদান কর্মীকে শোকজ করা হয়েছে।তিনি আরো বলেন, তিনটি নয় ভুলবশত ২ ডোজ টিকা ওই শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয়। বর্তমানে ওই শিক্ষার্থীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।