Home নির্বাচিত খবর টিপুকে ফোন করে বলা হয়েছিলো, ‘চাচা আপনি খুন হবেন’

টিপুকে ফোন করে বলা হয়েছিলো, ‘চাচা আপনি খুন হবেন’

দখিনের সময় ডেস্ক

অপরিচিত একটি নম্বর থেকে ফোন করে টিপুকে বলা হয়েছিল- ‘চাচা আপনি খুন হবেন।’ জানা গেছে, মতিঝিল এলাকার চাঁদাবাজির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান ও ফ্রিডম মানিকের সঙ্গে নিহত টিপু দ্বন্দ্বে জড়িয়েছিলেন। পরিবার প্রত্যক্ষদর্শীদের কথা বলে এবং সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে টিপুকে খুন করার একটি নীলনকশার চিত্র পাওয়া যায়। প্রাপ্ত তথ্য বলছে, টিপু খুন হতে পারেন- এমন একটি ধারণা গত সপ্তাহেই দেওয়া

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, দীর্ঘদিনের পরিকল্পনায় টিপুকে খুন করা হয়। প্রতিদিন একই রাস্তা দিয়ে বাসায় ফিরতেন টিপু। এটি খুনিরা জানতেন। হত্যাকাণ্ডের আগে খুনিরা এলাকা রেকিও করেছে। পরিকল্পনা মতো, বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ১৫ মিনিটের দিকে খুনিরা মতিঝিল কলোনিবাজার থেকে একটি মোটরসাইকেল করে টিপুর মাইক্রোবাসের পিছু নেয়। অপরাধীরা রেকি পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে জানতো, টিপুর বাড়ির কাছাকাছি রেলগেট এলাকায় গাড়িটি যানজটে আটকে যাবে। সেটি মাথায় রেখেই কিলিং মিশনে অংশ নেয় তারা। টিপুর গাড়ি যানজটে আটকে গেলে রোড ডিভাইডারের ফাঁকা দিয়ে তারা মোটরসাইকেল উল্টো পথে নিয়ে টিপুর গাড়ির কাছাকাছি রাখে।

আওয়ামী লীগের স্থানীয় রাজনীতিতে দ্বন্দ্ব ছিল। প্রায় এক দশক আগে আরেক আওয়ামী লীগ নেতা মিল্কি খুনের পর টিপুর রাজনীতিতে পতন হয়। তবে স্থানীয় রাজনীতির প্রভাবে পাশাপাশি বিভিন্ন টেন্ডার তিনি নিয়ন্ত্রণ করতেন। এর মধ্যে শুধু গত বছরই ক্রীড়া পরিষদের ৩৭টি টেন্ডারের তিনি নিয়ন্ত্রণ করেন। এটা নিয়ে তার সঙ্গে অন্যদের বিরোধ তৈরি হয়। আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের নিয়ন্ত্রণ নিয়েও তার সঙ্গে দ্বন্দ্ব ছিল। ফুটপাতে দোকান বসানো ও বাজারের দোকান নিয়ে প্রতিপক্ষ গ্রুপের সঙ্গে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলে আসছে। আধিপত্য ও স্বার্থের দ্বন্দ্বে স্থানীয়দের পাশাপাশি দেশের বাইরে থাকা শীর্ষ সন্ত্রাসীদের সঙ্গে বিরোধ তৈরি হয়। শুধু স্বার্থের বিরোধ নাকি তার সঙ্গে মিল্কি খুনের প্রতিশোধ যুক্ত হয়েছে খুনি গ্রেপ্তারের পরই বিষয়টি পরিষ্কার হবে।

স্থানীয় রাজনীতিবিদরা বলেছেন, ২০১৩ সালে মিল্কি খুনের ঘটনায় নিজ দলের প্রতিপক্ষরা টিপুকে দোষারোপ করে। সেই মামলায় টিপু জেলও খেটেছেন। মিল্কি খুনের পর তার একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী যুবলীগ নেতা কানাডা চলে যান। বছর দুয়েক আগে তিনি দেশে ফেরেন। দেশে ফিরেই আধিপত্য ও টেন্ডারসহ বিভিন্ন বিষয়ে টিপুর সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ান বলে জানায় সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন সম্রাট ও টিপু- দুজনের বাড়িই ফেনী জেলায়। মতিঝিল এলাকার নিয়ন্ত্রণ তারা সমন্বয় করে করতেন। সম্রাট জেলে যাওয়ার পর পুরো মতিঝিলের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় টিপুর হাতে। আস্তে আস্তে তার প্রতিপক্ষও বাড়তে থাকে। দলীয় সাবেক ও বর্তমান একাধিক কমিশনার এবং রাজনীতিবিদদের সঙ্গে কোন্দলও চরম আকার ধারণ করে। আধিপত্য বিস্তার, দলীয় কোন্দল ও অবৈধ অর্থ উপার্জন নিয়ে বিরোধে টার্গেট হন টিপু।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

স্মার্টফোনে ইন্টারনেট চলে যাচ্ছে? জেনে নিন গতি বাড়ানোর কৌশল!

দখিনের সময় ডেস্ক: অনেকেই মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় হঠাৎ করেই দেখেন, নেটওয়ার্ক চলে গেছে। আশেপাশের অন্যরা নির্বিঘ্নে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারলেও আপনার ফোনেই সমস্যা...

প্রতিদিন ৩-৪ লিটার পানি পান করলে কী হয়?

দখিনের সময় ডেস্ক: ওজন কমানো একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ হতে পারে। কঠোর ডায়েট অনুসরণ করা, খাবারের প্রতি লোভ নিয়ন্ত্রণ করা, প্রতিদিন জিমে যাওয়া, কঠোর ওয়ার্কআউট করা...

ডিভোর্সের দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান

দখিনের সময় ডেস্ক: নিন্দুকরা মনে করছে বাংলার মেয়ে গিটার বাদক মোহিনী দে-র জন্যই হয়ত সায়রাকে ছেড়েছেন ভারতের অস্কারজয়ী সংগীতশিল্পী ও সুরকার এ আর রহমানের। তবে...

যৌন পর্যটনের নতুন কেন্দ্র টোকিও, সেক্স ইন্ডাস্ট্রির জড়িত কিছু চক্র

দখিনের সময় ডেস্ক: যখন স্বর্ণযুগ ছিল, শহরটি অর্থনীতিতে ব্যাপক উন্নতি দেখেছে। এটি এখনো বিশ্বের অন্যতম বাসযোগ্য শহর হিসেবে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছে। তবে আশঙ্কার বিষয়...

Recent Comments