দখিনের সময় ডেক্স:
হঠাৎ দেখলে মনে হবে গাছে গাছে থোকায় থোকায় ‘ফুটে আছে’ শামুকখোল। নিরাপদ আশ্রয় আর মানুষের ভালোবাসায় এই কানাইপুকুর গ্রামে শামুকখোল পাখির সংখ্যা এখন দশ হাজার ছাড়িয়েছে। জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার কানাইপুকুর গ্রাম। এই গ্রামের গাছে গাছে বাসা হাজারো শামুকখোল পাখির। গ্রামবাসী গভীর মমত্ব দিয়ে আগলে রেখেছে পাখিগুলোকে। দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে শামুকখোল পাখির সংখ্যা।
প্রকৃতির অপরূপ খেয়ালে এখানে গত এক যুগ ধরে বাসা বেঁধে আছে হাজার হাজার শামুকখোল পাখি। সন্ধ্যায় পুরো পুকুর মুখরিত হয়ে ওঠে পাখির কল-কাকলিতে। রাতভর চলে ওদের ডানা ঝাপটানো। নির্বিঘ্নে রাত কাটিয়ে ভোর হলেই উড়ে যায়। দিনশেষে নীড়ে আবারও ফিরে আসে। শামুখখোল, শামুকভাঙা, হাইতোলা মুখ এসব নামে পরিচিত পাখিগুলো।
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলা শহর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে আলমপুর ইউনিয়নের কানাইপুকুর গ্রামের আব্দুস সামাদ মণ্ডল ও সোবহান মন্ডলের পুকুরের শতাধিক গাছে শামুকখোলসহ ছয় প্রজাতির হাজার হাজার পাখির স্থায়ী অভয়াশ্রম। প্রতিদিন বিকেলে হাজারও শামুকখোল পাখি এসে আশ্রয় নেয় মণ্ডল পুকুরের গাছগুলোতে। কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত চারপাশে তারা মনের সুখে ডানা ঝাপটায়, কেউবা আবার বাচ্চার মুখে তুলে দেয় খাবার। গ্রামের পার্শ্ববর্তী খাল-বিল আর ফসলের মাঠ থেকে পোকা মাকড় ও শামুক ঝিনুক খেয়ে জীবন বাঁচে পাখিগুলোর। নিরাপদ আশ্রয় আর ভালবাসায় বাসা বেঁধে প্রজনন থেকে শুরু করে ডিম, বাচ্চা, প্রাপ্ত বয়স্ককাল সব তাদের এখানেই। ফলে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এর সংখ্যাও।