দখিনের সময় ডেস্ক:
নাইট্রোজেন সংবদ্ধকরণে পারদর্শী বেশ কিছু প্রজাতির উপকারী ব্যাকটেরিয়া খুঁজে বের করাহয়েছে। এসব ব্যাকটেরিয়া অর্থকরী উদ্ভিদকে নাইট্রোজেন সংবদ্ধকরণে সহায়তা করে, উদ্ভিদের দ্রুত বৃদ্ধি এবং অধিক ফলন নিশ্চিত করে। এসব ব্যাকটেরিয়া মানব মূত্র থেকেই উপাদান সংগ্রহ করে অতি দ্রুত সংখ্যা বাড়াতে সক্ষম।
মানব মূত্র থেকে উৎপাদিত সারকে আরো বেশি উপযোগী করে তুলতে তাতে অনেকটা সহজেই এসব ব্যাকটেরিয়া সারের সঙ্গে ব্যবহার করে জমির উর্বরতা বাড়াতে বেশ চমকপ্রদ ফল পাওয়া গেছে। সবশেষে জমিতে সার হিসাবে ব্যবহারের আগে সঠিকভাবে সংরক্ষণের উপায় বের করা। এসব ধাপ মোটেই তেমন জটিল নয়। ‘তপি অর্গানিক’ তা প্রমাণ করেছে।
অন্যদিকে আরেকদল বিজ্ঞানী অন্যকথা শোনাচ্ছেন। তাঁদের কথা হলো, মূত্র থেকে সকল বর্জ্য আলাদা করলে যে পানি পাওয়া যাবে, মানুষ তা নির্দ্বিধায় পান করতে পারবে বা দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করতে পারবে। বর্তমানে এই গ্রহের মানুষরা প্রতিদিন গড়ে প্রায় এক হাজার কোটি লিটারেরও বেশি মূত্র ত্যাগ করে থাকে। অন্যভাবে বলা যেতে পারে, এই পরিমাণ মূত্র দিয়ে অলিম্পিকের বিশাল আকারের চার হাজারেরও বেশি সুইমিং পুল অনায়াসে পূর্ণ করা যায়। সুতরাং পানের পানির একটি নতুন উৎস হতে পারে এই বিপুল পরিমাণ মূল্যবান
তরল।
শুধু কথায় নয়, আমেরিকার মহাকাশ সংস্থা, নাসার বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যে তা বাস্তবায়ন করে
দেখিয়েছেন। তাঁরা আপাতত এমন সুপেয় পানি শুধু নভোচারী এবং মরুযোদ্ধাদের জন্য
বরাদ্দ রেখেছেন। ভবিষ্যতে প্রয়োজন পড়লে, অন্যত্র তা কাজে লাগানো যেতে পারে। (চতুর্থ
ও শেষ পর্ব কাল)