Home নির্বাচিত খবর ব্যাংকগুলোতে বেড়েই চলছে কর্মী চাকরিচ্যুতি করার ঘটনা

ব্যাংকগুলোতে বেড়েই চলছে কর্মী চাকরিচ্যুতি করার ঘটনা

দখিনর সময় ডেস্ক:

ব্যাংকগুলোতে কর্মীদের চাকরিচ্যুতি করার ঘটনা বেড়েই চলছে। সূত্রমতে কর্মকর্তাদের সুরক্ষায় বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার তোয়াক্কা করছে না ব্যাংকগুলো। অপছন্দের কর্মকর্তাকে কোনো ঘটনায় ফাঁসিয়ে দিয়ে দীর্ঘমেয়াদে সংকটে ফেলা হচ্ছে। শীর্ষ নেতৃত্বের পরিবর্তনেরর সঙ্গে সঙ্গেই চাকরিচ্যুতির ঘটনা বেশি ঘটছে।

সম্প্রতি এনআরবি ব্যাংকেও অনেক নিরপরাধ কর্মকর্তাকে ফাঁসানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের স্বপদে পুনর্বহালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনাও পরিপালন করেনি ব্যাংকটি। এভাবে তীর্থের কাকের মতো চাকরি ফিরে পেতে ব্যাংকারদের হাহাকার বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, করোনার মধ্যেই কর্মীদের বেশি চাকরিচ্যুত করার ঘটনা ঘটেছে। ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের আগস্ট পর্যন্ত ছয়টি ব্যাংকে তিন হাজার ৩১৩ জন কর্মী চাকরি ছেড়েছেন। এর মধ্যে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন ৩ হাজার ৭০ জন। এ ছাড়া ১২ কর্মীকে ছাঁটাই, ২০১ কর্মীকে অপসারণ ও ৩০ কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

ব্যাংক কর্মকর্তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি কয়েকটি ব্যাংক পরিদর্শন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি অ্যান্ড কাস্টমার সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট। এতে অনেক ক্ষেত্রে উপযুক্ত প্রমাণ না থাকার পরও চাকরিচ্যুতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে অনেককে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পুনরায় নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশনা দিলেও ব্যাংকগুলো তা পরিপালন করছে না।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন প্রতিবেদনে দেখা যায়, এনআরবি ব্যাংকের শেয়ার কেলেঙ্কারির ঘটনায় এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট না থাকা সত্ত্বেও তৎকালীন কোম্পানি সেক্রেটারি মো. হাসানুল হককে বিধিবহির্ভূতভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়। শেয়ার ট্রেডিংয়ে তার কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। তিনি ইনভেস্টমেন্ট কমিটির সদস্যও ছিলেন না। ব্যাংকের অননুমোদিত শেয়ার ট্রেডিংয়ের বিষয়ে বহিঃনিরীক্ষকের নিরপেক্ষ নিরীক্ষায়ও তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উত্থাপন করা হয়নি। তারপরও ব্যাংক কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়া নির্ধারিত প্রক্রিয়া ছাড়াই হাসানুল হককে চাকরিচ্যুত করে। ব্যাংকিং খাতের সুশাসন রক্ষায় হাসানুল হককে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশনা দেওয়া হয় এবং ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মামুন মাহমুদ শাহকে সতর্ক করা হয়। তারপরও হাসানুল হককে চাকরিতে পুনর্বহাল করেনি ব্যাংকটি।

জানা যায়, সাউথ-বাংলা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান পরিবর্তনের পর থেকে গত ছয় মাসে মোট কর্মকর্তার ৬০ ভাগকে বদলি করা হয়েছে। পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে ২০ জনকে। চাকরিচ্যুত হয়েছেনও কয়েকজন। বেশির ভাগ ঘটনায় নিয়ম মানা হয়নি। নারী কর্মকর্তাদের স্থানান্তরেও চরম অমানবিকতার পরিচয় দিয়েছে ব্যাংকটি। অনেক কর্মকর্তা চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

নিজের চেয়ার ঠিক রাখতেই ব্যস্ত পুলিশ কর্মকর্তারা

দখিনের সময় ডেস্ক: জুলাই ২৪-এর আন্দোলনে গণহত্যার জন্য একক বাহিনী হিসেবে পুলিশকে দায়ী করা হয়। মানুষের ক্ষোভের আগুনে পুড়েছে বাহিনীটির শতশত থানা, যানবাহন। জীবন গেছে...

সংস্কারের আগে নির্বাচন করলে কখনোই সংস্কার হবে না: তোফায়েল

দখিনের সময় ডেস্ক: সংস্কারের আগে নির্বাচন করলে আর কখনোই সংস্কার হবে না। জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন সদস্য...

না ভোট ফিরিয়ে আনার সুপারিশ সংস্কার কমিশনের

দখিনের সময় ডেস্ক: সরাসরি রাষ্ট্রপতির নির্বাচন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কোনো প্রার্থী নির্বাচিত না হওয়া, না ভোট ফিরিয়ে আনা ও অর্থের উৎসের স্বচ্ছতা নিশ্চিতসহ বেশ কয়েকটি সুপারিশ...

সুযোগ পেলে গলা চেপে ধরবে আ.লীগ: রিজভী

দখিনের সময় ডেস্ক: গণহত্যার জন্য বর্তমানে আওয়ামী লীগ ক্ষমা চাওয়ার কথা বললেও, সুযোগ পেলে আবারও তারা মানুষের গলা চেপে ধরবে। এমনটাই মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র...

Recent Comments