স্টাফ রিপোর্টার ॥
আজ বুদ্ধিজীবি হত্যা দিবস। চূড়ান্ত পরাজয় নিশ্চিত জেনে হানাদার বাহিনী বাংলাদেশকে মেধা শুন্য করতে বেছেবেছে বুদ্ধিজীবিদের হত্যা করে। হানাদার বাহিনী তাদের দেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর ও আল শামস বাহিনীর সহায়তায় দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের তুলে নিয়ে নির্মম নির্যাতনের পর হত্যা করে। এ পরিকল্পিত গণহত্যাটি বাংলাদেশের ইতিহাসে বুদ্ধিজীবী হত্যাকা- নামে ইতিহাসে কুখ্যাত। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বুদ্ধিজীবীদের ক্ষতবিক্ষত ও বিকৃত লাশ রায়েরবাজার এবং মিরপুর বধ্যভূমিতে পাওয়া যায়।
একাত্তরের ২৬ মার্চ পাকিস্তান হানাদারবাহিনী রাতের অন্ধকারে নৃশংস যে বর্বরতা শুরু করেছিলো তা অব্যাহত রেখেছে চূড়ান্তভাবে পরাজিত হওয়া পর্যন্ত। হানাদাররা ধ্বংস করার যে তান্ডবে মেতেছিলো তা অব্যাহত রেখেছে আনুষ্ঠানিক পরাজয় পর্যন্ত।
একটি দেশকে ধ্বংস করতে যে কয়টি বিষয় ধ্বংস করতে হয়, তার মধ্যে দেশের বুদ্ধিজীবী হত্যা করা অন্যতম। তাই করেছে পকিস্তানী হানাদার বাহিনী। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ পর্যায় এসে হানাদার বাহিনী যখন বুঝতে শুরু করে তাদের পক্ষে যুদ্ধে জেতা আর সম্ভব নয়, তখন তারা নবগঠিত দেশকে সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও শিক্ষাগত দিক থেকে পঙ্গু করে দেয়ার জন্য পরিকল্পনা করতে থাকে।