বছরে অন্তত একশ কোটি টাকা মূল্যের বিষ পাচার হয় বাংলাদেশকে রুট হিসেবে ব্যবহার করে। এধারণা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের। গতকাল শুক্রবার ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে কাঁচের জারে রক্ষিত প্রায় নয় কেজি সাপের বিষসহ কয়েকজনকে র্যাব আটক করেছে।
র্যাবের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলছেন, আমরা যেগুলো উদ্ধার করেছি সেগুলোর প্যাকেটের ধরন দেখে মনে হচ্ছে বাইরে থেকে এসেছে। আর জারগুলোতে লেখা ছিল মেড ইন ফ্রান্স। এর আগে গাজীপুরে বিষ উদ্ধারের পর সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ মোঃ রেজাউল হায়দার বলেছিলেন তারা যে বিষ উদ্ধার করেছিলেন তার জারগুলোতেও মেড ইন ফ্রান্স লেখা ছিল।
সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ মোঃ রেজাউল হায়দার বলেছিলেন, পাচারকারীরা সাপের বিষ পাচারের রুট হিসেবে বাংলাদেশকে ব্যবহার করে আসছে। তিনি অবশ্য বলেছিলেন, বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে বিষ পাচার হয়। আবার কখনো সেসব দেশ থেকে এনেও অন্য দেশে নেয়া হয়।
বাংলাদেশের আইনে সাপের বিষের লেনদেন বা ক্রয় বিক্রয় এবং পাচার দন্ডনীয় অপরাধ। এরপরও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের ধারণা, বছরে অন্তত একশ কোটি টাকা মূল্যের বিষ পাচার হয় বাংলাদেশকে রুট হিসেবে ব্যবহার করে। ফেনী, বেনাপোল, সাতক্ষীরা, যশোর, কুমিল্লাসহ কয়েকটি এলাকায় একাধিক চক্র গড়ে উঠেছে যারা সাপের বিষ সংগ্রহ ও চোরাচালানের সাথে জড়িত বলে পুলিশের ধারণা। খবর: বিবিসি।