Home শীর্ষ খবর রোগী মারা যাওয়া পর্যন্ত কমিশন ঢোকে দাল চক্রের পকেটে, এই টাকা যায়...

রোগী মারা যাওয়া পর্যন্ত কমিশন ঢোকে দাল চক্রের পকেটে, এই টাকা যায় উপরেও

দখিনের সময় ডেস্ক:

রোগী গুরুতর অসুস্থ। নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) নিতে হবে এখনই। কিন্তু আইসিইউ খালি নেই। আইসিইউর জন্য দেওয়া হয় সিরিয়াল। দিনের পর দিন যায়, সপ্তাহও পার হয়ে যায়, মেলে না আইসিইউ।

এ পর্যায়ে চিত্রনাট্যে হাজির হন তারা; বলেন, ‘ব্যবস্থা’ আছে। এই ‘তারা’ হলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের কর্মচারী আর বহিরাগতের সমন্বয়ে গড়েওঠা দালাল চক্র।

‘দ্রুত নিতে হবে, না হয় রোগী মারা যাবে’— এমন ভয় দেখিয়ে তারা রোগী ভাগিয়ে নেন বেসরকারি হাসপাতালে। ওই রোগী যতক্ষণ সেই হাসপাতালে থাকবে ততক্ষণ তাদের পকেটে ঢুকতে থাকবে কমিশনের টাকা। রোগী সুস্থ হোক বা মারা যাক, ছাড়পত্র নেওয়ার আগ পর্যন্ত চলতে থাকে এ প্রক্রিয়া।

 সর্বশেষ ভরসা হিসেবে সারা দেশ থেকে মুমূর্ষু রোগীদের নিয়ে আসা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এদের মধ্যে অধিকাংশেরই আইসিইউ সাপোর্টের দরকার হয়। কিন্তু হাসপাতালে নেই পর্যাপ্ত আইসিইউ শয্যা। এ কারণে দরকার হলেও প্রায়ই আইসিইউ শয্যা পান না রোগীরা। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলে ৮৬টি আইসিইউ এবং ৩০টি হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিট (এইচডিইউ) রয়েছে। এর মধ্যে নন-কোভিড আইসিইউ ৩২টি, কোভিড আইসিইউ ১০টি, নবজাতকের জন্য এনআইসিইউ ৩৮টি এবং পেডিয়াট্রিক (শিশু) আইসিইউ আছে ছয়টি।

এ সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। হাসপাতালের একটি অসাধু চক্র এ সংকট কাজে লাগিয়ে মোটা অঙ্কের কমিশনের বিনিময়ে রোগীদের পাঠিয়ে দেয় বেসরকারি হাসপাতালে। চক্রে জড়িত আছে বহিরাগত কিছু দালাল, সরকারি-বেসরকারি আম্বুলেন্সচালক, ঢামেকের কর্মচারী, আনসার সদস্য, ওয়ার্ড বয় ও ট্রলিম্যান।

র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দালাল চক্রের সদস্যরা

কমিশনের এ ব্যবসায় দালালরা ভিন্ন ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেন। রোগী পাঠানোর সময় তারা স্বজনের মোবাইল নম্বর রেখে দেন। নিয়মিত তারা রোগীর খোঁজখবর নেন। কত দিন হাসপাতালে থাকতে হচ্ছে, কবে ছাড়া পাবেন, ছাড়া পেয়েছেন কি না— এসব তথ্য নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তারা তাদের প্রাপ্য অর্থ বুঝে নেন।

যে দালাল রোগী পাঠাবেন, হাসপাতাল বিলের ৪০ শতাংশ পাবেন তিনি। ঢামেকের কোনো কর্মচারী যদি রোগী পাঠান, প্রাথমিকভাবে তাকে হাসপাতাল থেকে দুই হাজার টাকা দেওয়া হয়। অনেক সময় রোগীর আইসিইউ সাপোর্ট প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে আট থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত পকেটে ঢোকে তার

জানা যায়, দালালরা রোস্টার ভিত্তিতে ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করেন ঢামেকে। তাদের তৎপরতা বেশি দেখা যায় ঢামেকের ২১১ (সদ্য ভূমিষ্ঠ নবজাতক), ২১২ (গাইনি বিভাগ) ও ৯৮ (অধিকাংশ দুর্ঘটনার রোগী) নম্বর ওয়ার্ডে।

%%%%%

র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দালাল চক্রের সদস্যরা

%%%%%%%

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

টিকটকে নিরাপদ রাখবে যে ১০ ফিচার

দখিনের সময় ডেস্ক: ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে টিকটক। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাথে যৌথভাবে কাজ শুরু করেছে টিকটক। যেখানে ‘ফিডস’ নেটওয়ার্কের...

প্রতিদিন খেজুর খাবেন যে কারণে

দখিনের সময় ডেস্ক: আপনার কি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য সুস্বাদু কোনো খাবার প্রয়োজন এবং সেইসঙ্গে অতিরিক্ত ওজন কমাতে চাইছেন? এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হতে পারে খেজুর।...

পরীমণি প্রথম স্বামীর পরদিন মারাগেলো প্রথম পরিচালক

দখিনের সময় ডেস্ক: লাইফ সাপোর্টে থেকেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমণির প্রথম সিনেমা ‘ভালোবাসা সীমাহীন’-এর পরিচালক শাহ আলম মণ্ডল।  গুলশানের...

বাউফলে ইউএনও’র বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল

নয়ন সিকদার, বাউফল প্রতিনিধি পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বশির গাজীর বিরুদ্ধে অনিয়ম,দুনীতি ও অপসারনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈশোম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। গতকাল...

Recent Comments