দখিনের সময় ডেস্ক:
শ্বেত পাথরের ফলকে বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের উল্লেখ থাকলেও নির্মিত হয়েছে টিনশেড ঘর। ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মাওহা উচ্চ বিদ্যালয়ে। ২০২১-২২ অর্থবছরে জাইকার অর্থায়নে মাওহা ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন সহায়তা তহবিল থেকে মাওহা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভবন নির্মাণের জন্য ৪ লাখ ৮০০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
ওই বরাদ্দ থেকে গত জুন মাসে পাঠদানের জন্য বিদ্যালয়ে একটি নতুন টিনশেড ঘর নির্মাণ ও বিদ্যালয়ের একটি চালাঘর সংস্কার করা হয়। গত বুধবার ওই টিনশেড ঘরের পাশে ফলক লাগানো হয়। ফলকে লেখা রয়েছে ‘মাওহা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ’। স্থানীয়রা প্রশ্ন তোলেন, টিনশেড ঘর কীভাবে ভবন হয়?
স্কুলের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রকল্প নির্মাণ কাজ চেয়ারম্যান সাহেব তদারকি করছেন। ইতোমধ্যে পাঠদানের জন্য একটি নতুন টিনশেড ঘর নির্মাণ, একটি চালাঘর সংস্কার ও কিছু বেঞ্চ, টেবিল তৈরি করা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় স্কুলে আরো কিছু উন্নয়নমূলক কাজ করা হবে।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ইউপি) মোহাম্মদ আল ফারুক জানান, প্রকল্পের বরাদ্দ থেকে ভ্যাট কেটে যে টাকা থাকে সেটা দিয়ে স্কুলে পাকা ভবন নির্মাণ সম্ভব নয়। ফলকে ভুল লেখা হয়েছে। বরাদ্দ থেকে স্কুলের জন্য দুটি টিনশেড ঘর নির্মাণ ও আসবাবপত্র বানানো হয়েছে। এছাড়া বরাদ্দ থেকে স্কুলের ল্যাবরেটরির আসবাবপত্র তৈরি ও উন্নয়নমূলক কাজ করা হবে।
উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী আবু সালেহ মো. ওয়াহেদুল হক বলেন, ভবন বলতে দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই কোন স্থাপনাকে বোঝায়। কেবলমাত্র টিনশেড ঘরকে ভবন বলার সুযোগ নেই। গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান মারুফ বলেন, কোনো অনিয়ম থাকলে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।