দখিনের সময় ডেস্ক:
অভিনেত্রী শাহ হুমায়রা হোসেন সুবহা। অভিনয়ের চেয়ে বেশি আলোচনায় ছিলেন নানা ইস্যুতে। গত বছরের শেষ দিকে গায়ক ইলিয়াসকে বিয়ে করেন সুবাহ। এরপর সংসার জীবনে নেমে আসে নানা কলহ। সেই জের ধরে তাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এরপর দুজনেই দারস্থ হন আদালতের।
গতকাল সোমবার(২৫ জুলাই) ইলিয়াস হোসাইনের বিরুদ্ধে যৌতুক চেয়ে নির্যাতনের অভিযোগে করা মামলা প্রত্যাহার করেছেন সুবহা। ঢাকার সাত নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ইলিয়াসের উপস্থিতিতে তিনি মামলা চালাবেন না, প্রত্যাহার করতে চান। আর ইলিয়াস খালাস পেলে তার কোনো আপত্তি নেই বলেও বিচারককে জানান সুবাহ।
তবে এর মধ্যেই সুবাহ জানান, গত ৫/৬ মাস ধরে ইলিয়াসের পরিবার আমার পরিবার নিয়ে মীমাংসার জন্য আমাকে বলা হচ্ছিল। তাই আমি তাদের সঙ্গে এখন মীমাংসা হয়ে গেছি এবং কেস তুলে নিয়েছি। সেও তাই করেছে। আর যা হয়েছে দুজনের জীবনের ভালোর জন্যই হয়েছে। দুই পরিবার এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিদের পরামর্শ ও অনুরোধে।
সুবাহ’র অভিযোগ, ‘এখন দেনমোহরের টাকা আর কিছু ক্ষতিপূরণ দিয়ে সাধু হওয়ার চেষ্টায় আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করেই যাচ্ছে সামাজিকভাবে। দেনমোহরের টাকা দিয়ে এত নাটক করার কি আছে? না দিতে পারলে বলতো আমরা দিতে পারবো না। তখন মীমাংসার সময়ে কিন্তু এই কথাগুলো বলেনি তার পরিবার। শুধুমাত্র আমাকে ছোট করার জন্যই সামাজিকভাবে এসব বলা এবং করা হচ্ছে। অথচ মীমাংসার আপোসনামায় স্পষ্ট লেখা আছে, কেউ কারও বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে কোনো হেয় প্রতিপন্নমূলক কথা বলবো না এবং একে অপরের মামলা নিজ দায়িত্বে তুলে ফেলবো।’
এই অভিনেত্রী বলেন, ‘বিয়ের পর আইনগতভাবে দেনমোহরের ভরণপোষণের টাকা প্রতিটা মেয়ের প্রাপ্য অধিকার এবং এটি অবশ্যই হালাল ইসলামিক শরীয়া মোতাবেক। কারণ তার সঙ্গে আমার ভালোবেসে বিয়ে হয়েছিল। সংসার তো আমি শেষ অবধি করতে চেয়েছি। শুধু সংসার বাঁচানোর জন্য আমি তো তার মতো তাকে ছেড়ে কোথাও যাইনি। আর আমি তাদের মতো কাউকে বলিও নাই, আসেন আমার সঙ্গে মীমাংসা করেন এবং টাকা দিয়ে আমাকে উদ্ধার করেন।’