দখিনের সময় ডেস্ক:
মুসলিম বিয়েতে দেনমোহরের বিপরীতে কাজিরা (ম্যারেজ রেজিস্ট্রার) যে টাকা আদায় করেন, তার একটা অংশ সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। এ খাতে লেনদেন ডিজিটাল করারও সুপারিশ করা হয়েছে।
সংসদীয় কমিটিচর বৈঠকে আইন মন্ত্রণালয় জানায়, ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন বছরে তিন পার্বত্য এলাকা ছাড়া সারা দেশে ২০ লাখ ২০ হাজার ৭৪৯টি বিয়ে হয়েছে। এসব বিয়েতে দেনমোহরের পরিমাণ ছিল ৯০ হাজার ৯৪০ কোটি ৬৯ লাখ ৬ হাজার ৩৫১ টাকা। এর বিপরীতে কাজিরা আদায় করেন এক হাজার ৫৬২ কোটি আট লাখ ৩৩ হাজার ৯৮৭ টাকা। আর সরকারি কোষাগারে জমা পড়েছে সাত কোটি ৮৫ হাজার ৪৫৮ টাকা।
সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। বিয়ে ও তালাক রেজিষ্ট্রেশনে যে বিপুল পরিমাণ টাকা আদায় হয় তার খুব অল্প অংশ যায় সরকারি কোষাগারে। কাজিদের আদায় করা টাকার একটা অংশ যাতে সরকারি কোষাগারে যেতে পারে সেজন্য ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
গত মার্চ মাসের বৈঠকেও এ নিয়ে আলোচনা হয়। সে সময় বিয়ে ও তালাক নিবন্ধনে আলাদা দুই ধরনের খাতা রেখে কাজির বাড়তি ফি আদায় ঠেকাতে নজরদারি বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়।
মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) বিধিমালা ২০০৯-এ বলা আছে, একজন নিকাহ নিবন্ধক (কাজি) চার লাখ টাকা পর্যন্ত দেনমোহরের ক্ষেত্রে প্রতি এক হাজার টাকার জন্য সাড়ে ১২ টাকা ফি নিতে পারবেন। দেনমোহর চার লাখের বেশি হলে এর পর থেকে প্রতি এক লাখ বা অংশ বিশেষের জন্য ১০০ টাকা নিবন্ধন ফি নিতে পারবেন। তবে সর্বনিম্ন ফি হবে ২০০ টাকা। তালাক নিবন্ধনের ফি ৫০০ টাকা। একজন নিবন্ধক বছরে সরকারি কোষাগারে ১০ হাজার টাকা নিবন্ধন ফি এবং নবায়নের জন্য পাঁচ হাজার টাকা জমা দেন।