দখিনের সময় ডেস্ক:
আজ সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কাঠমান্ডুর রশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ। সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে ভারত ফাইনাল খেলবে এবং শিরোপা জিতবে- এত দিন টুর্নামেন্টে এটাই যেন একপ্রকার রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছিল। অবশেষে প্রতিযোগিতার ষষ্ঠ আসরে পাল্টে গেছে প্রথাগত নিয়ম।
সাবিনা-কৃষ্ণাদের বিপক্ষে গ্রুপপর্বে বিধ্বস্ত হওয়া ভারত সেমিফাইনালে বিদায় নিয়েছে নেপালের হাত ধরে। এবার স্বপ্নের ফাইনালের অপেক্ষা। বাংলাদেশের স্বপ্নপূরণের ম্যাচে শেষ বাধা স্বাগতিক নেপাল। টুর্নামেন্টে যেই জিতুক হতে যাচ্ছে ইতিহাস। সাফ নারী ফুটবল পাবে নতুন চ্যাম্পিয়নকে। দুটো দলই ভারতের কাছে স্বপ্ন জমা দিয়ে এসেছে। নেপাল তো ৪ বার ফাইনালে উঠেও শিরোপা জিততে পারেনি ভারতের কাছে। এবার শেষ চারের ম্যাচে সেই দলটিকে ১-০ গোলে হারিয়ে কিছুটা হলেও প্রতিশোধ নিয়েছে নেপাল। আর গ্রুপপর্বে ভারতকে ৩-০ গোলে হারায় বাংলাদেশ।
২০১০, ২০১২, ২০১৪ ও ২০১৯ সালে ফাইনাল খেলেছে নেপাল। মাঝে ২০১৬ সালের ফাইনালের টিকিট কেটেছিল বাংলাদেশ। ৫টি আসরেই বিজয়ের হাসি হেসেছে ভারত। এবারের আসরে ভারতীয়দের এক ঘা মেরেছে দুই ফাইনালিস্টই। সেমিফাইনালে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে ১-০ গোলে জেতে স্বাগতিক শিবির। তবে ফাইনালের টিকিটের জন্য অমন কাঠখড় পোড়াতে হয়নি গোলাম রব্বানি ছোটনের ছাত্রীদের। ভুটানকে গোলের মালা পরিয়ে ফাইনালের মঞ্চে নাম লিখিয়েছেন তারা।
২০১০ সালে প্রথমবার নেপালের বিপক্ষে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত হয় বাংলাদেশ। সবশেষ ২০১৯ সালে গ্রুপপর্বের ম্যাচটার ফলও একই। এর মাঝে ২০১৪ সালে সেমিতে ১-০ গোলে হার। এবারের ম্যাচটা তাই বাংলাদেশের জন্য প্রতিশোধের মঞ্চ হিসেবে তৈরি করেছে। আর নেপালের কাছে ফাইনালটা ইতিহাসের পুনরাবৃত্তির। তবে নেপাল ফেভারিট হলেও ম্যাচজুড়ে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ দল।
পরিসংখ্যান এবং হোম কন্ডিশনে নেপাল এগিয়ে থাকলেও বাংলাদেশ কোচ রব্বানির মতে ফাইনালটা হতে যাচ্ছে ফিফটি ফিফটি। গতকাল ম্যাচের আগে তিনি বলেছেন, ‘সব বিভাগে উন্নতির ধারায় আছে মেয়েরা। নেপালের বিপক্ষে ম্যাচটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ হবে। ফিফটি-ফিফটি ম্যাচ হবে। এখানে সুযোগ কম আসবে, কিন্তু যেগুলোই আসবে কাজে লাগাতে হবে।’