দখিনের সময় ডেস্ক:
কথায় আছে সিনেমার গরু গাছেও ওঠে। শাকিব-অপু-বুবলীর প্রেম-বিয়ে-সন্তানের গল্পগুলোও তেমনই। অনেক জল্পনা-কল্পনার পর শুক্রবার প্রকাশ হলো শাকিব-বুবলী দম্পতির পুত্র সন্তানের ছবি। সিনেমার নায়ক-নায়িকা বটে! ব্যক্তিজীবনকেও তারা সাজিয়ে নিয়েছেন রূপালি পর্দার চিত্রনাট্যে।
জন্মের দীর্ঘ আড়াই বছর পর বীরের কথা কৌশলে জানান দেন বুবলী। শাকিব খানের বড় পুত্র জয়ের জন্মদিনে এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে বুবলী তার বেবিবাম্পের ছবি পোস্ট করে ছোট খানের খবরটা জানান তিনি। ওই দিন গণমাধ্যমের কাছে বুবলী জানান, ‘আমি মুসলিম। সব কিছুই শালীনভাবে এবং সুন্দরভাবেই হয়েছে।’
ধারণা করা হচ্ছে, আজ শুক্রবার(৩০ সেপ্টেম্বর) দুজনেই শেহজাদ খান ও তাদের বিয়ের সম্পর্কে মুখ খুলবেন সোশ্যাল হ্যান্ডেলে।
এ বিষয়ে বুবলী বলেন, আমরা চেয়েছি একটি শুভ দিনক্ষণ দেখে আমাদের সন্তানকে সবার সম্মুখে আনতে। তবে আল্লাহ যা করেন, ভালোর জন্যই করেন, সেই সুখবরটি জানানোর জন্য আর বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয়নি। শেহজাদ খান বীর আমার এবং শাকিব খানের সন্তান, আমাদের ছোট্ট রাজপুত্র। আমার সন্তান আমার গর্ব, আমার শক্তি। আপনাদের সবার কাছে আমাদের সন্তানের জন্য দোয়া কামনা করছি। এই কথা লিখে শাকিব খানও ফেসবুকে নিজের ছেলের সঙ্গে একটি ছবি প্রকাশ করেন।
জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্র থাকা বাংলাদেশের মডেল-অভিনেত্রী নওশীন নাহরীন মৌ সেসময় বুবলীর পাশে ছিলেন। আর বুবলী ও তার সন্তানের পাশে থেকে সার্বিক সহযোগিতাও করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, শাকিব খানকে যুক্তরাষ্ট্রে থাকার অনুমতি নিয়ে দেওয়ার পেছনেও নওশীনের অবদান অনেক। তার গ্রিন কার্ড পাওয়ার সব সহযোগিতা করেছেন এই মডেল-অভিনেত্রী।
এদিকে, ২০১৭ সালে বুবলী তার ফেসবুকে একটি ছবি প্রকাশ করেন। আর ক্যাপশনে লিখেছিলেন, ‘ফ্যামিলি টাইম’। সেই ছবিতে বুবলী বোন ও দুলাভাইয়ের সঙ্গে বসে আছেন শাকিব খান। এখন নেটিজেনদের ধারণা ছিল, শাকিব-বুবলীর সম্পর্কের শুরুটা সেখান থেকেই। তবে সত্যটি তা নয়, বুবলীর রূপালি পর্দায় পা রাখার আগে থেকেই শাকিব খানের সঙ্গে তার পরিচয়। শাকিব খানই তাকে নিয়ে আসে রূপালি ভুবনে। ২০১৬ সালে ‘বসগিরি’ ও ‘শুটার’ সিনেমা দিয়ে শোবিজে বুবলীর আত্মপ্রকাশ। এরপর এই জুটি উপহার দিয়েছেন বেশ কিছু সিনেমা।