দখিনের সময় ডেস্ক:
ইউনাইটেড এয়ারওয়েজে বিনিয়োগ করে লাভ তো দূরের কথা, বিনিয়োগের টাকাই হাওয়া। এখন নতুন করে ঋণ ও বকেয়ার টাকা দিতে হবে বিনিয়োগকারীদের। ইউনাইটেড এয়ারের মোট ঋণ রয়েছে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা। সম্পদ রয়েছে মাত্র ১০০ কোটি টাকা।
বেবিচকের কাছে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের প্রস্তাব ছিল সারচার্জ (সম্পদ কর) মওকুফ করার। সেই আবেদনও নাকচ করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। এখন নিয়মানুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির বকেয়া ও দায়-দেনা পরিশোধ করতে হবে বিনিয়োগকারীদের। এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন, প্রতিষ্ঠানটি (ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ) আমাদের কাছে সারচার্জ (সম্পদ কর) মওকুফের আবেদন করেছিল। আমরা তা নাকচ করেছি।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) জানে আট বছর ধরে বন্ধ থাকা ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের ডানা কখনও মেলবে না। অথচ বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে নতুন করে পর্ষদ ঘোষণা করা হয়। বিনিয়োগকারীদের স্বপ্ন দেখানো হয় যে ব্যবসা পুনরায় চালু হবে। এ খবরে শেয়ারের দাম কয়েক গুণ বেড়ে যায়। বিশেষ ওই গোষ্ঠী পরে শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা তুলে বাজার ছাড়ে। আবারও ধোঁকায় পড়েন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
ইউনাইটেড এয়ারের মোট ঋণ রয়েছে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা। সম্পদ রয়েছে ১০০ কোটি টাকা। তাও কাগজে-কলমে, বাস্তবে আরও কম। নিয়ন্ত্রক সংস্থার উচিত প্রতিষ্ঠানটির (ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ) পেছনে আর সময় না দিয়ে বাজারটা বাঁচানো। ভালো ভালো প্রতিষ্ঠানকে বাজারে তালিকাভুক্ত করা— বলছেন তারা।