Home নির্বাচিত খবর ‘বরিশাল মুক্তিযুদ্ধের সদরে অন্দরে’ বই’র দ্বিতীয় সংস্করণের সম্পাদনা সমাপ্ত প্রায়

‘বরিশাল মুক্তিযুদ্ধের সদরে অন্দরে’ বই’র দ্বিতীয় সংস্করণের সম্পাদনা সমাপ্ত প্রায়

দখিনের সময় ডেস্ক:
স্বাধীনতা আন্দোলন-সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ‘বরিশাল মুক্তিযুদ্ধের সদরে অন্দরে’  গ্রন্থের দ্বিতীয় সংস্করণের সম্পাদনা প্রায় সমাপ্ত হয়েছে।  ২০০৬ সালে প্রকাশিত এই বইর লেখক জানিয়েছেন, ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে ‘বরিশাল মুক্তিযুদ্ধের সদরে অন্দরে’ বইর দ্বিতীয় সস্করণ প্রকাশিত হবে।  এবং বইটি যাবে আগামী একুশে বই মেলায়।
এ গ্রন্থে মনসুরুল আলম মন্টু লিখেছেন, “১৬ ডিসেম্বর বাঙ্গালির স্বাধীনতা কী হাজার বছরের রক্তের অধিকার অর্জন?  বরিশালের কীর্তনখোলার তীরে দাঁড়িয়ে বুক ভরে দম নিয়েছিলাম, কত বছর পর? হাজার বছর?  সেই নিশ্বাস প্রশ্বাসের নির্মল হাওয়া এখন কোথায়? আমি জানিনা কেউ আমার এই স্মৃতিকথায় খুঁজে পাবেন কিনা সেদিনের সেই খোলামেলা আকাশ? জানিনা, কেউ খুঁজে পাবেন কিনা সেদিনের মূল্যবোধ আর পবিত্র সত্য?”
উল্লেখ্য, সে সময়ের ছাত্রনেতা মনসুরুল আলম মন্টু ‍ব্যারাকপুর ক্যান্টনমেন্টে প্রশিক্ষণ শেষে মুজিববাহিনীর সদস্য হিসেবে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। তাদের আমাদের আগে মুজিব বাহিনীর যে গ্রুপটি বাংলাদেশে ঢুকেছিল তারা সবাই পাক সেনাদের হাতে ধরা পড়েন। একমাত্র বরিশালের আমবাগানের মফিজুল ইসলাম ঝন্টু পালিয়ে যেতে পেরেছিলেন।
মনসুরুল আলম মন্টু পুস্তক রচনা করেছেন নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে। তার অসাধারণ পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা বইটিকে অসাধারণ উচ্চতা প্রদান করেছে। এই বইটি অগ্নিঝড়া দিনগুলো এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে এরই মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। জানাগেছে, দ্বিতীয় সংস্করে বইটি আরো সমৃদ্ধ হবার পাশাপাশি বাড়বে কলেবরেও।
ছাত্ররাজনীতি থেকে বেড়ে উঠেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মনসুরুল আলম মন্টু জনতার দাবি আদায়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ- দীর্ঘ পথ অতিক্রম করেছেন। এ সময় মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছেন একাধিকবার। রাজপথে তার মিছিলে গুলি হয়েছে। হানাদার বাহিনীর আক্রমণ থেকে বরিশাল রক্ষার অসম যুদ্ধে মৃত্যু দেখেন খুব কাছ থেকে। ভারত যাবার পথে পড়েছেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গানবোটের কবলে। সেবার ধরা পড়তে পড়তে সারেং-এর বুদ্ধিমত্তায় বেঁচে গেছেন। কিন্তু রাজাকারদের হাতে ধরাপড়া থেকে আর বাঁচতে পারেননি। তবে সেবার প্রাণে বেঁচেছিলেন কৌশলে পালিয়ে এবং শুধু নিজের প্রাণ নয়, সতীর্থ সকলকে বাঁচিয়েছেন মনসুরুল আলম মন্টু। কাবু করেছিলেন রাজাকার দলকেও।
নানা ঘটনার সংযোজন ও বিশ্লেষণে সমৃদ্ধ ‘বরিশাল মুক্তিযুদ্ধের সদরে অন্দরে’ গ্রন্ধের অনবদ্য প্রচ্ছদ তৈরী করেছেন ডা. গাজী সুলতান আহমেদ।  দ্বিতীয় সংস্করণের সম্পাদনাসহ নানান বিষয়ও তিনি সহায়তা করছেন।  দিচ্ছেন নানা পরামর্শ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

শিবিরের ঢাবি শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটির ঘোষণা শিগগিরই: শিবির সভাপতি

দখিনের সময় ডেস্ক ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেছেন, দু-একদিনের মধ্যে সেক্রেটারিসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে। গতকাল শনিবার রাতে গণমাধ্যমকে...

সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাসান গ্রেপ্তার

দখিনের সময় ডেস্ক সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান চৌধুরীকে রাজধানীর আদাবর থানার একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ রবিবার রাজধানীর...

শিশুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার

দখিনের সময় ডেস্ক: কক্সবাজারের টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপে বাড়ির সামনে থেকে তাহমিনা আক্তারের (৭) নামে এক শিশুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত...

স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, থানায় এসে স্বামীর আত্মসমর্পণ

দখিনের সময় ডেস্ক: রাজধানীর পল্লবীতে শামসুন্নাহার (৫২) নামের এক নারীকে নিজ হাতে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছেন তার স্বামী। ঘাতক স্বামীর নাম মোখলেছুর রহমান (৫২)।...

Recent Comments