বাউফল প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর বাউফলে জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম বার্ষিক ও শিশু কিশোর দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার (১৭ মার্চ) বেলা ১১ টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে সংঘর্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদার ও ৯ পুলিশসহ কমপক্ষে ২১ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় আবদুল মোতালেব হাওলাদারকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
উপজেলা যুবলীগের নেতা অরিবিন্ধু জানান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদারের নেতৃত্ব একটি আনন্দ মিছিল আওয়ামী লীগ কার্যালয় জনতা ভবনের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় পুলিশ উপজেলা পরিষদের গেইটের সামনে বাধা দেয়। এসময় আওয়ামী লীগের সভাপতি আসম ফিরোজ এমপির ভাইর ছেলে যুবলীগ সভাপতি ফয়সাল আহম্মেদ মনির মোল্লার নেতৃত্বে কয়েকশ নেতাকর্মী এসে তাদের উপর দেশী অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এতে আবদুল মোতালেব হাওলাদারসহ তার অনুসারি গৌতম দাস, অমল চন্দ্র দাস, জাহিদ বক্স, রাজিব, জলিল, পলাশ, রাজা মিয়া, হাসান, বেল্লাল, রিপন, ইমরান গুরুত আহত হন।
এসময় পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ ৮-১০ রাউন্ট রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এসময় ইটপাটকেলের আঘাতে পুলিশের ওসি আলম মামুন, এসআই মনিরুজ্জামান, এসআই হুমায়ন কবির, এসআই আবুল বশার, এস আই আবুল হাসান, এএসআই শাহিন, কনেস্টবল রাহাত, কনেস্টবল ইত্তি, কনেস্টবল রবিউল আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদের হাতে, পেটে ও পায়ে গুরুতর জখম হয়েছে। তাকেসহ তার কয়েক অনুসারিকে উদ্ধার করে প্রথমে বাউফল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সেখান থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। তাদেরকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। শহরের থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এঘটনায় শহরে প্রায় এক ঘন্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।
বাউফলের ইউএনও বলেন, ‘দুই পক্ষকেই সহ অবস্থানের অনুরোধ করা হয়েছিল। তারা আমাকে কথাও দিয়েছিলেন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করবেন। কিন্তু তারা কথা রাখেননি। আমি হাতজোড় করে তাদেরকে অনুরোধ করেছি। তারা আমার কথা শুনেননি।’
বাউফল থানার ওসি আল মামুন বলেন, ‘এ কর্মসূচীর নিরাপত্তা বিধানের জন্য শহরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়ন ছিল। ঘটনার সময় সংহিসতা মোকাবেলা করতে ৮-১০ রাউন্ট রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়। এসময় আমিসহ ৯ পুলিশ আহত হয়েছেন।’