দখিনের সময় ডেস্ক:
সাফজয়ী ফুটবলার সিরাত জাহান স্বপ্না ও কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের অবসরের সিদ্ধান্ত দেশের ফুটবলের জন্য অশনিসংকেত। তাই ফুটবলের এমন অস্থির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। সাফজয়ের পর মাঠে খেলা ফেরাতে না পারাকে ফেডারেশনের আন্তরিকতার অভাব হিসেবে দেখছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। ফুটবলারদের প্রতি বাফুফে অবহেলা করেছে বলেও মন্তব্য তার। আবারও নারী ফুটবলের সুদিন ফেরাতে সাহায্যের আশ্বাস দিলেন তিনি।
যে দেশের ফুটবলে নারীদের হাত ধরে এলো এত বড় সাফল্য, মাত্র আট মাসের ব্যবধানে সেই নারী ফুটবলই এখন থমকে থাকা অবস্থায়। মাঠে খেলা নেই, নেই সাফল্যধারা ধরে রাখতে ফেডারেশনের কোনো প্রয়াসও। সাফজয়ের পর অন্যান্য দেশ আট থেকে নয়টি ম্যাচ খেললেও, দক্ষিণ এশিয়ার সেরা দলটা কোনো টুর্নামেন্টের আলোর মুখই দেখতে পারেনি।
ক্যারিয়ার নিয়ে হতাশায় ফুটবলকেই বিদায় জানাচ্ছেন স্বপ্নাদের মতো তারকা ফুটবলাররা। দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনও। নারী ফুটবলে সাফল্যের রূপকারের কেন এমন বিদায়ের সিদ্ধান্ত? তা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলেন যুব ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। তিনি বলেন, ‘গোলাম রব্বানী ছোটন নারী ফুটবলের জন্য যে অবদান রেখেছেন তা কোনো কিছু দিয়ে পূরণ করা সম্ভব নয়। তাদের মতো মানুষকে আরও বেশি সম্মানিত করা উচিত। নারী ফুটবলের স্বার্থে তাকে ধরে রাখা উচিত। এ ধরনের ঘটনা (ফুটবলারদের ক্যাম্প ছেড়ে যাওয়া) কেন ঘটছে এটা খতিয়ে দেখা দরকার।’
কোচ ও ফুটবলারদের এমন বিদায় দেশের নারী ফুটবলের জন্য অশনিসংকেত। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও, মাঠে খেলা ফেরাতে না পারাকে পুরোপুরি ফেডারেশনের ব্যর্থতা মানছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। শুধু তা-ই নয়, নারীদের মাঠের খেলায় ধরে রাখতে না পারাকে নারী ফুটবলারদের প্রতি অবহেলা আর আন্তরিকতার অভাবেরও ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘জাতীয় দলের জন্য টুর্নামেন্ট আয়োজন করা আমি অসম্ভব কিছু মনে করছি না। আমার মনে হয় এখানে আন্তরিকতার অভাব।’