দখিনের সময় ডেস্ক:
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় ঘরে বউ রেখে হিজড়া সেজে প্রতারণা ও অশ্লীলতাসহ চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে মো. রুবেল (৩০) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। রুবেল উপজেলার কলমি ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড চর-মঙ্গ গ্রামের আবুল কাশেম পাটোয়ারীর ছেলে।
জানাযায়, মো. রুবেল এখন ‘সকাল হিজরা’ নামেই পরিচিত । নিজ এলাকা চরফ্যাশন উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে হাটবাজারে মানুষের কাছ থেকে চাঁদাবাজী ও প্রতারণা করণসহ অশ্লীলতা এবং ব্ল্যাক মেইল করে টাকাপয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে।
চর-কলমি ইউনিয়ন চরমঙ্গ গ্রামের চৌমুহনী বাজারের একাধিক ব্যক্তি বলেন, রুবেল আগে তার বাবার সাথে কৃষি, ও রাজমিস্ত্রী কাজসহ বিভিন্ন ধরনের কাজ করত। পরবর্তীতে সে স্থানীয় দর্জি সালাউদ্দিন নামে এক যুবকের হাত ধরে ঢাকায় গিয়ে সেখান থেকে সে নারীদের পোষাক পড়ে আঞ্জুরহাট বাজারে আসে। পরে এলাকাবাসী রুবলকে নারী সূলভ আচরণ ও পুরুষ হয়ে নারী সাজতে মানা করলেও সে কিছুতেই মানছে না। বরং সে ঘরে বউ রেখে নারী হিজড়া সেজে অশ্লীলতার পাশাপাশি স্থানীয় চর-মঙ্গল চৌমুহনী বাজারসহ বিভিন্ন পর্যটন এলাকায় উঠতি বয়সি ও যুবকদের সঙ্গে নাচগান এবং অশ্লীল কর্মকান্ড করে যুব সমাজকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে।
রুবেল ওরফে সকাল হিজড়ার মা বলেন, আমরা ধার্মীক মানুষ। আমার ছেলে রুবেলের ঘরে স্ত্রী রয়েছে। স্ত্রীর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমরা চাই রুবেল হিজড়াদের জগত থেকে সাধারণ জীবনে ফিরে আসুক। এবং তাকে নিয়ে সংসার করুক। এবিষয়ে রুবেল ওরফে সকাল হিজড়া প্রতারণার কথা স্বীকার করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে টাকার দাবি করেন। তিনি গণমাধ্যমকে মোবাইল ফোনে জানান, “কেউ যদি আমাকে ৫ লাখ টাকা দিয়ে সাহায্য করে তাহলে আমি আর এধরণের প্রতারণার কাজ করবো না। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবো।”
শশীভূষণ থানার (ওসি) মো. এনামুল হক বলেন, কোনো ব্যাক্তি যদি হিজড়া বা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ বলে পরিচয় দিয়ে প্রতারণাসহ ব্ল্যাক মেইলের সঙ্গে জড়িত থাকে এবং তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।