Home বরিশাল বরিশালে অধ্যক্ষের সঙ্গে ছাত্রদলের বাগবিতণ্ডা, ভিডিও ভাইরাল

বরিশালে অধ্যক্ষের সঙ্গে ছাত্রদলের বাগবিতণ্ডা, ভিডিও ভাইরাল

দখিনের সময় ডেস্ক:

বরিশালে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহামুদ জুয়েল ও সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ অধ্যক্ষ মোস্তফা কামালের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়েছে। বরিশালে অনুষ্ঠিতব্য তারুণ্যের সমাবেশ সফলে লিফলেট বিতরণের অনুমতি নিতে গেলে বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় অধ্যক্ষের রুমে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় উত্তেজিত হয়ে ওঠেন কলেজ অধ্যক্ষ ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

একপর্যায়ে মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবিরের ওপর চড়াও হন অধ্যক্ষ। পরে সাইফ মাহামুদ জুয়েলের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওর শুরুতে দেখা যায়, ক্যাম্পাসে মিছিল দেওয়ায় বিষয়টি অধ্যক্ষকে জানানো হলো না – বিষয়টি কেমন হলো তা নিয়ে ছাত্রদল নেতাদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন তোলেন অধ্যাপক মু. মোস্তফা কামাল। এসময় ছাত্রদল নেতারা অধ্যক্ষকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, যে তারা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেই অনুমতির জন্য অধ্যক্ষের কার্যালয়ে সরাসরি এসেছেন।

এরপর অধ্যক্ষ অধ্যাপক মু. মোস্তফা কামালকে কারও সঙ্গে ফোনে কথা বলতে দেখা যায় ওই ভিডিওতে। তার মাঝেই স্থানীয় ছাত্রদল নেতারা কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলকে পরিচয় করিয়ে অধ্যক্ষকে উদ্দেশ্য করে বলতে থাকেন, আগামী ২৪ জুন তারুণ্যের সমাবেশ সফল করার জন্য ক্যাম্পাসে লিফলেট বিতরণ করা হবে, এজন্য অনুমতি চাইতে আপনার কাছে এসেছি।

মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির গণমাধ্যমকে বলেন, কলেজ এলাকায় তারুণ্যের সমাবেশ সফল করতে লিফলেট বিতরণের অনুমতি নিতে শুরুতেই অধ্যক্ষের রুমে যাই। আমরা ঢোকার পরও তিনি ৫-৭ মিনিট চেয়ার থেকে ওঠেননি, কথাও বলেননি। উল্টো তিনি পুলিশসহ অন্যান্য ব্যক্তিদের কল দিতে থাকেন। তখন আমাদের তিনি জানান, কলেজে ছাত্রলীগ মিছিল করলেও আমার পরামর্শ নিয়ে করে। তখন আমরা বলি, আমরাও তো অনুমতি নিতে আসছি। এর একপর্যায়ে কলেজ অধ্যক্ষ আমাকে বেয়াদব বলে চড়াও হন।
কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহামুদ জুয়েল গণমাধ্যমকে জানান, আমরা অধ্যক্ষের রুমে ঢুকে সৌজন্যতার অভাব পেয়েছি। তিনি প্রথমেই বলেছেন, মিছিল কেন করেছি; কিন্তু আমরা কোনো মিছিল করিনি। কেন্দ্রীয় নেতা আসায় কলেজের বাইরে গেটে নেতাকর্মীরা স্লোগান দিয়েছেন। একপর্যায়ে অধ্যক্ষ মহানগর নেতার ওপর চড়াও হয়েছেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তিনি আমাদের সঙ্গে শিক্ষক সুলভ আচরণ করেননি।
হাতেম আলী কলেজ অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল গণমাধ্যমকে জানান, কারো সঙ্গেই কিছু হয়নি। কলেজে আমার কক্ষে বসা অবস্থায় হঠাৎ মিছিলের শব্দ কানে আসে। এরই মধ্যে তারা আমার দরজার সামনে চলে আসে। কেন্দ্রীয় নেতা জুয়েলের সঙ্গে এই বলার সময় পেছন থেকে কেউ একটা বাজে কমেন্ট করেছে। তারপর চিল্লাপাল্লা হইছে। এছাড়া আর কিছু হয়নি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

পরীমণি প্রথম স্বামীর পরদিন মারাগেলো প্রথম পরিচালক

দখিনের সময় ডেস্ক: লাইফ সাপোর্টে থেকেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমণির প্রথম সিনেমা ‘ভালোবাসা সীমাহীন’-এর পরিচালক শাহ আলম মণ্ডল।  গুলশানের...

বাউফলে ইউএনও’র বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল

নয়ন সিকদার, বাউফল প্রতিনিধি পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বশির গাজীর বিরুদ্ধে অনিয়ম,দুনীতি ও অপসারনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈশোম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। গতকাল...

নিজের চেয়ার ঠিক রাখতেই ব্যস্ত পুলিশ কর্মকর্তারা

দখিনের সময় ডেস্ক: জুলাই ২৪-এর আন্দোলনে গণহত্যার জন্য একক বাহিনী হিসেবে পুলিশকে দায়ী করা হয়। মানুষের ক্ষোভের আগুনে পুড়েছে বাহিনীটির শতশত থানা, যানবাহন। জীবন গেছে...

সংস্কারের আগে নির্বাচন করলে কখনোই সংস্কার হবে না: তোফায়েল

দখিনের সময় ডেস্ক: সংস্কারের আগে নির্বাচন করলে আর কখনোই সংস্কার হবে না। জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন সদস্য...

Recent Comments