দখিনের সময় ডেস্ক:
দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ভাই-বোন খুনের ঘটনায় তাদের চাচা আব্দুল কাদিরসহ সাতজনের নামে হোসেনপুর থানায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার (১৪ জুলাই) রাতে নিহতদের বাবা মো. সামছুদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামির স্ত্রী ও ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনা কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের।
নিহত মাহমুদুল হাসান আলমগীর (৩২) ও তার বোন নাদিরা আক্তার (২৩) উপজেলার শাহেদুল ইউনিয়নের উত্তর কুড়িমারা গ্রামের সামছুদ্দিনের সন্তান। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার শাহেদল ইউনিয়নের উত্তর কুড়িমারা গ্রামের সামছুদ্দিনের সঙ্গে তার ছোট ভাই আব্দুল কাদিরের বাড়ির সীমানা নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে বিরোধ চলছিল। বুধবার (১২ জুলাই) নিজ বাড়ির সীমানায় গাছের চারা রোপণ ও কাটাকে কেন্দ্র করে শামসুদ্দিনের সঙ্গে তার ছোট ভাই কাদির ও ভাতিজাদের কথা কাটাকাটি হয়।
পরে এ ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সকালে শামসুদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্যের দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন ছোট ভাই কাদিরের লোকজন। এতে ঘটনাস্থলেই সামছুদ্দিনের ছেলে মাহমুদুল হাসান আলমগীর নিহত হন। এ সময় গুরুতর আহত সামছুদ্দিনের মেয়ে নাদিরা আক্তার, স্ত্রী শাহিদা আক্তার (৪৮), ছোট দুই ছেলে হুমায়ুন কবীর (২৬) ও সালমান (১৮)। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য নাদিরা আক্তারকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
হামলার সময় যারা আহত সামছুদ্দিনের স্ত্রী শাহিদা আক্তার, দুই ছেলে হুমায়ুন কবীর ও সালমান বর্তমানে কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হোসেনপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, নিহতদের বাবা মো. সামছুদ্দিন শুক্রবার রাতে তার ছোট ভাই আব্দুল কাদিরকে প্রধান আসামি করে সাতজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। এ ঘটনায় প্রধান আসামি আব্দুল কাদিরের স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন (৪০) ও ছেলে ইমরানকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যরা পলাতক থাকায় তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।