দখিনের সময় ডেক্স:
ঈদের আগে আর্থিক সংকটের কথা বলে আবারও শ্রমিকদের বেতন-ভাতা ও বোনাস দেওয়ার জন্য ঋণ চেয়েছেন তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতের ব্যবসায়ীরা। গতবারের মতো একই শর্তে এপ্রিল, মে ও জুন—এই তিন মাসের বেতন-ভাতা ও বোনাস দেওয়ার জন্য ঋণ চেয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এখন প্রশ্ন উঠেছে, এতো দিনের লাভের টাকা গেলো কোথায়?
এদিকে করোনা সংকটে সরকারের কাছ থেকে প্রণোদনা পেলেও গত এপ্রিলে শ্রমিকের মজুরি ৩৫ শতাংশ কম দিয়েছেন পোশাকশিল্পের মালিকেরা। পরে ঈদ বোনাসও কম দিয়েছেন তাঁরা। এবার শ্রমিকের বার্ষিক ৫ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধির (ইনক্রিমেন্ট) ওপর চোখ পড়েছে মালিকদের। তাঁরা আগামী দুই বছর শ্রমিকের ইনক্রিমেন্ট না দেওয়ার আবদার জানিয়েছেন।
তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান, নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান এবং বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বিটিএমএর সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন আজ রোববার(২৫ এপ্রিল) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে চিঠি দিয়ে ঋণ দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। চিঠির অনুলিপি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বরাবরও পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে বিশ্বের অনেক দেশই আগের মতো লকডাউনে রয়েছে। ফলে যেসব ক্রেতা অর্থ পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তারাও এখন অপারগতা প্রকাশ করছে। এমন অবস্থায় ঈদের আগে সচল কারখানাগুলোর শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও বোনাস প্রদানের জন্য মালিকদের ওপর প্রচণ্ড চাপ রয়েছে। আর্থিক সংকটের কারণে শ্রমিকের বেতন-ভাতা ও বোনাস পরিশোধে অর্থের জোগান দেওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পকে সহায়তা করার জন্য শ্রমিক-কর্মচারীদের এপ্রিল, মে ও জুন মাসের বেতন-ভাতা ও বোনাস দেওয়ার জন্য আগের মতো সহজ শর্তে ঋণ দেওয়া প্রয়োজন।