• ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বর্ষা মৌসুমে বাংলাদেশে সাপের দংশনের শিকার হয় ৬ লাখ মানুষ

দখিনের সময়
প্রকাশিত জুলাই ২৮, ২০২০, ০৭:২৬ পূর্বাহ্ণ
বর্ষা মৌসুমে বাংলাদেশে সাপের দংশনের শিকার হয় ৬ লাখ মানুষ
সংবাদটি শেয়ার করুন...

দখিনের সময় ডেস্ক ‍॥

বাংলাদেশে বর্ষা মৌসুমে প্রতি বছর প্রায় ছয় লাখ মানুষ সাপের দংশনের শিকার হন। এর মধ্যে অন্তত ছয় হাজার মানুষ মারা যান। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৯ সালের অক্টোবরে প্রকাশিত সর্বশেষ রিপোর্টে এ তথ্য দেখা দেয়া হয়েছে। প্রতি বছর বন্যার সময় অর্থাৎ মে-জুন-জুলাই, এই তিন মাস সাপের দংশন এবং তার কারণে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ে।

বাংলাদেশে যত মানুষ সাপের দংশনে মারা যায়, তার চারগুণ মানুষের নানা রকম অঙ্গহানি ঘটে, কেউ শারীরিকভাবে পঙ্গু হয়ে যান এবং কেউ দীর্ঘদিন মানসিক ট্রমা ভোগ করেন। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাজশাহী এবং ময়মনসিংহ এলাকায় সাপের কামড় এবং তা থেকে মৃত্যুর ঘটনা বেশি। পৃথিবীর সবচেয়ে বিষধর সাপের একটি ব্ল্যাক মাম্বা ।

বাংলাদেশে ৮০টি প্রজাতির সাপ রয়েছে। বাংলাদেশ টক্সিকোলজি সোসাইটির প্রধান অধ্যাপক এমএ ফায়েজের মতে,  দেশে যেসব সাপ রয়েছে, তার মধ্যে সাত থেকে আট প্রজাতির অত্যন্ত বিষধর। এ সাপের কামড়ে মানুষ বেশি মারা যায়। সাপে কাটার ঘটনা গ্রামাঞ্চলে, এবং কৃষি সংশ্লিষ্ট এলাকায় বেশি ঘটে থাকে। স্থলভূমিতে থাকা সাপ পায়ে বেশি দংশন করে। বাংলাদেশে ২৩ ধরণের সামুদ্রিক সাপ রয়েছে, সেগুলো মাছ ধরতে সমুদ্রে যাওয়া জেলেদের দংশন করে। তবে সমুদ্রের গভীরে তাদের অবস্থান হওয়ায় সাধারণত এই সাপের কামড়ের ঘটনা বিরল।

সাপে কাটলে করনীয় এবং বর্জনীয়

সাপে কাটলে  দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। হাত বা পা ভাঙলে যেমন করে শক্ত কিছু দিয়ে কাপড় দিয়ে হালকা করে বাধতে হবে। সাপে কাটা পেশী যতটা সম্ভব কম  নড়াচড়া করতে হবে। কারণ, পেশীর নড়াচড়া যত কম হবে, বিষ তত কম ছড়াবে।

সাপে কাটলে  আতংকিত হওয়া যাবে না। ওঝা বা ঝাড়ফুঁকের অপেক্ষা না করে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে।  চিকিৎসক দেখার আগ পর্যন্ত কিছু খাওয়া উচিত নয়। কোন মলম বা মালিশ লাগানো যাবে না। সাপে কাটা জায়গায় বেশি শক্ত করে বাধা যাবে না। এতে রক্ত জমে গিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তি পঙ্গু হয়ে যেতে পারেন।