দখিনের সময় ডেক্স:
দাদন ব্যবসায়ীদের মারধোর ও চাপের মুখে এবার গাইবান্ধায় রথের বাজার এলাকায় কোব্বাস আলী নামে এক বাসচালকের আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় কোব্বাস আলীর স্ত্রী হাসিনা বেগম বাদী হয়ে গত সোমবার রাতে ছয়জনকে আসামি করে এই মামলা করেন। কোব্বাস আলী রথের বাজারের জেলাল পাড়া গ্রামের আজিজার রহমান ছেলে।
মামলার প্রধান আসামি দাদনদার সোনা মিয়া। এ ছাড়াও এই মামলার রকিবুল ইসলাম মিন্টু, মাহবুবুর রহমান, টিংকু মিয়া, শাজাহান মিয়া ও কাফিলউদ্দিনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের মধ্যে কফিলউদ্দিনকে আটক করে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে পাঠিয়েছে। বাকি আসামিরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।
মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, দশানি গ্রামের দাদন ব্যবসায়ী সোনা মিয়ার কাছে সুদে ৩০ হাজার টাকায় নেয় কোব্বাস আলী। সেই টাকা লাভে আসলে দেড় বছরে ১ লাখ ২০ হাজারে দাঁড়ায়। এ নিয়ে গত শনিবার দাদন ব্যবসায়ী সোনা মিয়া কোব্বাস আলীকে বেধড়ক মারপিট করেন। এছাড়া এই সুদের টাকার জন্য কিছুদিন আগে কোব্বাসের একমাত্র সম্বল ভিটেমাটি জোরকরে স্ট্যাম্পে লিখে নেয় সোনা মিয়া ও তার সহযোগিরা। এরপরই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন কোব্বাস।
কোব্বাসের পরিবারের অভিযোগ, স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সম্প্রতি এ নিয়ে সালিশ হয়। সেই সালিশে লাভের অংশ বাদ দিয়ে আসলের ৩০ হাজার টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে সোনা মিয়া সব কিছু মেনে নেয়। কিন্তু তারপরেও গত শনিবার লাভের টাকার জন্য কোব্বাসকে চাপ দেন সোনা মিয়া। এ দিন টাকা না দেয়ায় কোব্বাসকে মারপিট করেন সোনা মিয়া।
খোলাহাটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য সৈয়দ মোস্তফা জামান মিন্টু বলেন, দশানির সোনা মিয়ার কাছে কোব্বাস ৩০ হাজার টাকা নেয় । সেই টাকা চক্রবৃদ্ধি হারে ১৮ মাসে হয় ১ লাখ ২০ হাজার। এটার জন্য কোব্বাসের বাড়ি-ভিটে স্ট্যাম্পে লিখে নেওয়া হয়। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার কোব্বাসের মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।