দখিনের সময় ডেক্স:
ভারতে এখনো প্রকৃত আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা জানা যাচ্ছে না বলে দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা। সিএনএনের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ভারতে প্রকৃত মৃতের সংখ্যা নথিভুক্ত মৃতের প্রায় ৩০ গুণ। অর্থাৎ সঠিক নথিভুক্ত হলে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ কোটি ছাড়াত। বিবিসিও এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিস্তার অভিযোগ এসেছে যে, ভারত সরকার করোনায় মৃতের প্রকৃত সংখ্যা গোপন করছে।
ভারত এবং দেশটির বাইরে নির্ভরযোগ্য বহু পত্রপত্রিকায় মৃতের সংখ্যা ধামাচাপা দেওয়ার কথা প্রমাণসহ প্রকাশ করা হচ্ছে। দিল্লির এক চিকিৎসক ডা. জিসি গৌতমকে উদ্ধৃত করে নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, অনেক মৃত্যু সরকারি রেকর্ডে তোলা হচ্ছে না। সরকার চাইছে না জনমনে ভীতি তৈরি হোক। গুজরাটের অন্যতম শীর্ষ দৈনিক সন্দেশ তাদের সংবাদদাতাদের রাজ্যের বিভিন্ন শ্মশান এবং গোরস্তানে পাঠিয়ে দেখেছে, সরকার মৃতের যে সংখ্যা দিচ্ছে প্রকৃত মৃত্যু তার কয়েকগুণ বেশি। গুজরাটে প্রতিদিন গড়ে ৬১০ জন মারা যাচ্ছে। একই অভিযোগ আসছে উত্তরপ্রদেশ এবং দিল্লির বেলাতেও। এক অনুসন্ধানে ভারতের টেলিভিশন নেটওয়ার্ক এনডিটিভি দেখতে পেয়েছে, এক গত সপ্তাহে দিল্লিতে সরকারের দেওয়া হিসাবের চেয়ে ১১৫০ জন বেশি রোগী মারা গেছে। দেশজুড়ে এমন অনেক অনুসন্ধানে মৃত্যু গোপন করার একই ধরনের প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।
অনেক শহরে শ্মশানগুলো শব দাহ করার নজিরবিহীন চাপে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শ্মশানকর্মীদের দিন-রাত কাজ করতে হচ্ছে। রাজধানী দিল্লির অবস্থা এতটাই সঙ্গিন যে খোলা মাঠ, পার্ক, এমনকি গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গাতেও অস্থায়ী শ্মশান তৈরির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কারণ যেসব সরকারি শশ্মান দিল্লিতে রয়েছে তারা আর চাপ নিতে পারছে না। মৃতদেহ নিয়ে গিয়ে দাহ করার জন্য তীব্র গরম আর চিতার আগুনের হলকার মধ্যে পিপিইতে মোড়া স্বজনদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। দিল্লির সারাই কালে খান শ্মশানের ভেতর খালি জায়গায় গত কয়দিনে নতুন ২৭টি দাহ করার বেদি তৈরি করা হয়েছে। শ্মশানটির লাগোয়া পার্কে তৈরি হয়েছে আরও ৮০টি বেদি। যমুনা নদীর তীরঘেঁষা এলাকাগুলোয় অস্থায়ী শ্মশান তৈরির জন্য জায়গা খুঁজছে দিল্লি পৌর কর্তৃপক্ষ।