দখিনের সময় ডেক্স:
সর্বাত্মক লকডাউন উপেক্ষা করে ঈদের আমেজে মেতে উঠেছেন বরিশালবাসী। নগরীর বাণিজ্যিক এলাকা ও প্রধান সড়কে দেখা গেছে ঈদ কেনাকাটায় বের হওয়া মানুষের ঢল।
ফুটপাত দখল ও অবৈধ পার্কিংয়ে সড়ক সংকুচিত হওয়ায় গাদাগাদি করে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন নগরবাসী। তাদের মধ্যে অনেকেই মাস্ক না পরে সামাজিক দূরত্ব অমান্য করে কেনাকাটা করছেন। ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ লেখা সম্বলিত স্টিকার লাগিয়ে মাস্ক না পরেই বেচাবিক্রি করতে দেখা গেছে দোকান মালিক-কর্মচারীদের।
এছাড়া বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করছেন সিএনজি-অটোরিকশা চালকরা। স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে জেলা প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রচার-প্রচারণা অভিযান চালালেও নগরবাসী সচেতন হচ্ছে না।
গতকাল নগরীর বাণিজ্যিক এলাকা চকবাজার, সদর রোড, গির্জা মহল্লা, কাটপট্টি, ফরিয়াপট্টি, বাজার রোড, পোর্ট রোডসহ কয়েকটি সড়কে দুপুর ২টার পরেও জনসমাগম দেখা গেছে। নগরীর অধিকাংশ বিপণিবিতানে ঘোষিত ও অঘোষিত মূল্যছাড়ে এসব এলাকায় ক্রেতা সমাগম বেড়েছে। এতে বজায় ছিল না সামাজিক দূরত্ব। প্রধান সড়কগুলোর পাশাপাশি নগরীর শাখা সড়কেও ছিল মানুষের ভিড়। এসব এলাকার বাসিন্দাদের গরমে অতিষ্ঠ হয়ে রাস্তার পাশে অবস্থান করে মাস্কবিহীন অবস্থায় আড্ডায় মেতে থাকতে দেখা গেছে।
দোকানে ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস স্টিকার’ টানানো থাকলেও গির্জা মহল্লা, চকবাজার, কাঠপট্টি এলাকার বেশ কয়েকটি দোকানের সব বিক্রয়কর্মীকে মাস্কবিহীন অবস্থায় পণ্য বিক্রি করতে দেখা গেছে। এছাড়া নগরীর শাখার সড়কের অধিকাংশ দোকানি স্বাস্থ্য নিরাপত্তাবিধি পুরোপুরি অমান্য করে ব্যবসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
নগরবাসীর স্বাস্থ্য নিরাপত্তা রক্ষায় বরিশাল জেলা প্রশাসনের তিনটি ভ্রাম্যমাণ আদালতের দল প্রত্যেক দিন অভিযান চালিয়ে দিচ্ছেন অর্থদণ্ড। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানেও জনসাধারণকে সচেতন করা যাচ্ছে না।