Home অন্যান্য নির্বাচিত খবর যেভাবে অভিনেত্রী হলেন পরিণীতি, হতে চেয়েছিলেন ব্যাংকার

যেভাবে অভিনেত্রী হলেন পরিণীতি, হতে চেয়েছিলেন ব্যাংকার

দখিনের সময় ডেস্ক:
বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়া, চলচ্চিত্র জগতে নিজের ক্যারিয়ার তৈরি করার পথচলাটা মোটেও সহজ ছিল না। ১৯৮৮ সালের ২২ অক্টোবর হরিয়ানায় জন্ম পরিণীতির। মাত্র ১৭ বছর বয়সে লন্ডনে পাড়ি জমান পড়ালেখার জন্য। সেখানে তিনটি বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করার পর গানবাজনা নিয়েও কোর্স করেন।
কলেজে পড়াকালীন সেখানকার ফুটবল ক্লাবের সঙ্গে কিছু সময়ের জন্য কাজ করেন পরিণীতি। এমনকি ম্যাচ চলাকালীন খাবার সরবরাহের দায়িত্বেও থাকতেন তিনি। ব্যাংকার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন অভিনেত্রী। সেজন্য পড়াশোনা শেষ করে লন্ডনেই চাকরি খুঁজতে শুরু করেন।
২০০৯ সালে ব্রিটেনে অর্থনৈতিক মন্দার ফলে চাকরির অভাব দেখা দেয়। ফলে বাধ্য হয়ে মুম্বাইয়ে ফেরেন পরিণীতি। সেখানে ফিরেই বলিপাড়ার নামি প্রযোজনা সংস্থা যশরাজ ফিল্মসের জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ শুরু করেন। ২০১০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ব্যান্ড বাজা বারাত’ ছবির প্রচারের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। সেই সময় অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ জন্মায় পরির। প্রযোজনা সংস্থার চাকরি ছেড়ে তিনি অভিনয় শিখতে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তি হন। ২০১১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘লেডিস ভার্সেস রিকি বহল’ ছবিতে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় পরিণীতিকে। বক্স অফিসে এই ছবি তেমন ব্যবসা করতে পারেনি। এরপর ২০১২ সালে যশরাজ ফিল্মসের প্রযোজনায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘ইশকজাদে’। এই ছবিতে মুখ্যচরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান পরিণীতি। বনি কপূরের পূত্র অর্জুন কপূর এই ছবির মধ্য দিয়ে বলিপাড়ায় আত্মপ্রকাশ করেন।
এরপর ‘শুদ্ধ দেশি রোম্যান্স’, ‘হাসে তো ফাঁসে’র মতো রোম্যান্টিক ঘরানার ছবিতে অভিনয় করেন পরিণীতি। দু’টি ছবিই ভালো ব্যবসা করে এবং এই তারকা তার অভিনয়ের জন্য যথেষ্ট প্রশংসা পায়। তবে ২০১৪ সালের শেষ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত পরিণীতির ক্যারিয়ারের সূর্য অস্তমিত হয়ে পড়ে। সে সময় এই নায়িকা যে ছবিগুলিতে অভিনয় করেছিলেন সেগুলির একটিও তেমন ব্যবসা করতে পারেনি। ফলে অবসাদগ্রস্থ হয়ে পড়েন অভিনেত্রী।
পরিণীতি বলেন, দেড় বছর আমার জীবনের সবচেয়ে খারাপ সময় ছিল। ‘দাওয়াত-এ-ইশক’ এবং ‘কিল দিল’ ছবি দু’টি ভাল চলেনি। পেশাগত দিক থেকে আমি ভেঙে পড়ছিলাম। আমার কাছে কোনও টাকা ছিল না। বাড়ি কেনার জন্য প্রচুর পরিমাণে বিনিয়োগ করে ফেলেছিলাম। ব্যক্তিগত জীবনেও ঝড় বয়ে যায়। মন ভেঙে গিয়েছিল আমার। জীবনে ইতিবাচক কোনও কিছু ছিল না। পরিণীতি আরও বলেন, ‘খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলাম আমি। কোনও বন্ধুবান্ধব ছিল না। এমনকি পরিবার থেকেও নিজেকে সম্পূর্ণ সরিয়ে ফেলেছিলাম। হয়তো দু’সপ্তাহে একবার তাদের সঙ্গে কথা বলতাম। নিজের ঘরের চার দেওয়ালের বাইরে বের হতাম না।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

টিকটকে নিরাপদ রাখবে যে ১০ ফিচার

দখিনের সময় ডেস্ক: ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে টিকটক। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাথে যৌথভাবে কাজ শুরু করেছে টিকটক। যেখানে ‘ফিডস’ নেটওয়ার্কের...

প্রতিদিন খেজুর খাবেন যে কারণে

দখিনের সময় ডেস্ক: আপনার কি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য সুস্বাদু কোনো খাবার প্রয়োজন এবং সেইসঙ্গে অতিরিক্ত ওজন কমাতে চাইছেন? এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হতে পারে খেজুর।...

পরীমণি প্রথম স্বামীর পরদিন মারাগেলো প্রথম পরিচালক

দখিনের সময় ডেস্ক: লাইফ সাপোর্টে থেকেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমণির প্রথম সিনেমা ‘ভালোবাসা সীমাহীন’-এর পরিচালক শাহ আলম মণ্ডল।  গুলশানের...

বাউফলে ইউএনও’র বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল

নয়ন সিকদার, বাউফল প্রতিনিধি পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বশির গাজীর বিরুদ্ধে অনিয়ম,দুনীতি ও অপসারনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈশোম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। গতকাল...

Recent Comments